ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার (প্রাক্তন রাইফেলস স্কয়ার)-এ চালু হলো স্টার সিনেপ্লেক্স-এর নতুন শাখা। আজ (২৬ জানুয়ারি) এই মাল্টিপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে হাজির হন দুই বাংলার জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র-মুখ শাকিব খান ও জয়া আহসান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তারকা দম্পতি তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত, প্রযোজক আবদুল আজিজ, অভিনেত্রী ভাবনা, অভিনেতা রোশান, শিমুল খান, নির্মাতা এসএ হক অলিক, চয়নিকা চৌধুরী, রায়হান রাফীসহ অনেকেই। অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটেছেন আগত অতিথিরা।
স্টার সিনেপ্লেক্স সূত্র জানায়, সীমান্ত সম্ভারের দশম তলায় অবস্থিত এ মাল্টিপ্লেক্সে রয়েছে তিনটি হল। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্বলিত অ্যাটমস ডলবি সাউন্ড সিস্টেম, সিলভার স্ক্রিনসহ একটি আধুনিক মাল্টিপ্লেক্সের সব ধরনের সুবিধা রয়েছে এখানে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘অবশেষে আমরা আরেকটি মাল্টিপ্লেক্স চালু করতে পারলাম। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় স্টার সিনেপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হলো। যা আমাদের পথচলায় নতুন মাত্রা যোগ করলো। দর্শকদের ভালোবাসাই আমাদের এ যাত্রায় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। আমরা শুরু থেকেই দেশের দর্শকদের সিনেমা দেখার নতুন পরিবেশ উপহার দিতে চেয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলছে আমাদের এই প্রয়াস। দর্শকদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আমরা আরও অনেকগুলো শাখা করতে চাই।’
এদিকে শাকিব খান বলেন, ‘ভালো সিনেমার জন্য প্রয়োজন ভালো সিনেমা হল। নতুন স্টার সিনেপ্লেক্স সে অভাব কিছুটা পূরণ করলো। ধানমন্ডির মতো একটি এলাকাতে ভালো একটা সিনেমা হল ছিল না। এটা বড় আক্ষেপের বিষয় ছিল। এবার সেটি লাঘব হলো। এই এলাকার মানুষের সিনেমা হলের চাহিদা পূর্ণ করবে নতুন সিনেপ্লেক্স। এর উদ্যোক্তাদের জানাই আমার তরফ থেকে অনেক ভালোবাসা। আশা করি, তারা সিনেমার জন্য এভাবেই কাজ করে যাবেন।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের এই শাখাটি উদ্বোধন হলো জেসন মেমোয়া অভিনীত হলিউডের ছবি ‘অ্যাকুয়াম্যান’ প্রদর্শনের মাধ্যমে। অন্যদিকে প্রথম বাণিজ্যিক শো হিসেবে কাল থেকে (২৭ জানুয়ারি) এই মাল্টিপ্লেক্সে প্রদর্শিত হবে জয়া আহসান-চঞ্চল চৌধুরীর ‘দেবী’।
আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে জয়া আহসান বললেন, ‘সিনেমা প্রযোজনা করতে গিয়ে সিনেমা হলের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি করে অনুভব করেছি। আমার আশার আলো দেখালো নতুন এই সিনেপ্লেক্স। এই ধারাবাহিকতায় সিনেপ্লেক্স বাড়তে থাকলে অচিরেই দূর হবে আমাদের হল সংকট। তৈরি হবে আরও ভালো ভালো সিনেমা। সেই স্বপ্নটাই দেখি।’