মোঃ সাইফুল ইসলাম
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া ইছামতি নদীর উপর নির্মিত সেতুটি প্রায় ২৯ বছর অতিবাহিত হবার পরেও পূর্ন মেরামত না করায় ঝুঁকি নিয়ে ২০টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করছে। দু’পাশের রেলিং দুটি ১০ বছর ধরে ভেঙ্গে গেছে। পরে বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেতুটি উভয় পাশে। মাঝে মধ্যে সেতু থেকে ভ্যান, রিকশা, অটোবাইকসহ শিক্ষার্থীরা নিচে পরে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। জানা গেছে, ১৯৯০-৯২ অর্থ বছরে উপজেলা এলজিইডি ঘিওর- হিজুলিয়া ইছামতি নদীর উপরে সেতুটি নির্মান করে। সম্প্রতিকালের বন্যার মৌসুমে পানির প্রবল ¯্রােতের কারনে অল্প দিনেই সেতুটি দু’ পাশের রেলিং, নিচের পিলার থেকে মাটি সরে ঝুঁকি পূর্ন হয়ে পরে। এ ছাড়া উভয় পাশের গাইড ওয়াল থেকে মাটি ধ্বসে যায়। এছাড়া সেতুটি বিভিন্ন স্থানে পলেস্টার উঠে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উথলী, টেপরা, আরিচা, রামকান্তপুর, নেকিরকান্দি, রসুলপুর, রাহাতহাটি, মল্লিকপুর, নয়াচর, বাশাইল, বাড়াদিয়া,আগুনপুর, করজনা, বর্ধমকান্দিসহ প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার- হাজার লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এলাকার সাধারন ব্যবসায়ীদের পণ্যসামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনের ক্ষেত্রে অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে, ফুলহারা – হিজুলিয়া-নেকিরকান্দি সড়কটি জরুরী মেরামত না করার বন্যা মৌসুমে এ অঞ্চলের লোকজনের নৌকা একমাত্র বাহন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নেকিরকান্দি-রাহাতহাটি লোকজনের প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৮টি বছর অতিবাহিত হবার পরেও এ অঞ্চলের লোকজনের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। বৃষ্টির সময় চলাচলে ক্ষেত্রে মারাতœক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কোন প্রকার যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করাতো দুরের কথা লোকজন পায়ে হেটে চলাচল করতে পারেনা। হিজুলিয়া পাকা রাস্তাগুলোর বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ এবং বিভিন্ন স্থানে বড়- বড় গর্তের হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পরেছে। কিন্তু এত দুর্ভোগের পরেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ব্রাইট গ্রুপের পরিচালক ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি ঘিওরের হিজুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম দরজী উজ্জল জানান,আমাদের গ্রামের সেতুটি দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার- হাজার লোকজন ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি নির্মান করা প্রয়োজন। ফুলহাড়া স্কুলের একজন শিক্ষক জানান, সেতুটি নির্মান না করা দরুন স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে চরম অসুবিধা হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাকুর রহমান জানান,আমি সরেজমিন সেতুটি পরিদর্শন করেছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি প্রকল্প তৈরী করেছি। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। এলাকার অভিঞ্জ মহল জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি নির্মানের জন্য সেতু মন্ত্রীসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।