নিউজ ডেস্ক:
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের তুলির আঁচড়ে যেন বদলে গেছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির রং। যদিও সবে শুরু, কেবল হলো এক ম্যাচ। তবুও এই শুরু-টাই যে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। চনমনে থেকে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো আর প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট; তারুণ্যে গড়া সাকিব আল হাসানের দল যেন দুর্বার।
অধিনায়ক সাকিবও যেন খোলনলচে বদলে গেছেন। ২২ গজে তার বিচরণ, সতীর্থদের সঙ্গে রসায়ন, ব্যাটিং-বোলিং পারফরম্যান্সে অসাধারণ; সবমিলিয়ে এক অনন্য সাকিবকেই দেখা যাচ্ছে। আর তাতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সিরিজেই দিচ্ছে জয়ের হাতছানি।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তরুণ পেসার হাসান মাহমুদতো বলেই দিলেন, এই টি-টোয়েন্টি দল এক ঝাঁক সেরা খেলোয়াড় নিয়ে গড়া।
‘এই মুহূর্তে আমাদের যে টি-টোয়েন্টি দলটা আছে, আমি মনে করি বেস্ট বাঞ্চ অব প্লেয়ার্স। সবাই খুবই দুর্দান্ত এবং মাঠে শেষ পর্যন্ত খুবই এফোর্ট দেয়। এটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, এই ব্যাচটাকে এগিয়ে নিতে পারি, আমার মনে হয় ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি; যে কোনো ফরম্যাটে আমরা এগিয়ে থাকব।’
তিন ম্যাচের সিরিজে সাগরিকার পাড়ে দাপুটে জয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১-০ ব্যবধানে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রোববার (১২ মার্চ) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। বিকেল ৩টার এই ম্যাচে লাল সবুজের দল জিতলেই হবে ইতিহাস, টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের পর প্রথম সিরিজ জয়ের ইতিহাস।
স্বাগতিক শিবিরে সিরিজ জয় নিয়ে বিশ্বাস শতভাগ। সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকবার সিরিজ জেতা নিয়ে প্রশ্নের মুখে হাসান প্রতিবারই দিয়েছেন আত্মবিশ্বাস। ‘আমরা ইনশাআল্লাহ্ সিরিজ জিতব। মোমেন্টাম যেহেতু আমাদের দিকে আছে, ইনশাআল্লাহ্ ভালো কিছু হবে। অধিনায়ক আমাদের সাহস দিচ্ছেন। আমরা তরুণ আছি সবাই। সব কিছু মিলে ঠিকঠাক চলছে।’
ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে খেলা হলেও প্রতি ম্যাচের আগে উইকেট থাকে আলোচনার পর্বের এক নম্বরে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগেও ঘুরেফিরে এলো সেই প্রসঙ্গ। নিজেদের মাঠেই স্বাগতিক শিবিরে উইকেট যেন রহস্যময়ী। আর সেটি যদি শের-ই-বাংলার উইকেট হয় তাহলেতো কথাই নেই।
উইকেট নিয়েও হাসান দিয়েছেন আশ্বাস। ভালো উইকেট হবে এবং বাংলাদেশ ভালো করবে। ‘মিরপুরে খেলা যেহেতু হবে, অবশ্যই ভালো উইকেটেই হবে। এখন পর্যন্ত আমরা খুব ভালো খেলেছি। ওদেরকে চট্টগ্রামে হারিয়েছি। চেষ্টা থাকবে ওদেরকে এখানেও হারানোর।’
অতীত ইতিহাস বলছে বাংলাদেশ এই ম্যাচে নামতে পারে জয়ী একাদশ নিয়েই। অর্থ্যাৎ তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজাতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে সবকিছু নির্ভর করছে পিচের আচরণের উপর। ম্যাচের দিন দুপুরে পিচ দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ম্যানেজম্যান্ট। জয়ী একাদশের প্রথা ভেঙে সেটিই হওয়া উচিত। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের পরও পিচের আচরণ বুঝে দুই পরিবর্তন নিয়ে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তাতে আরও বড় সাফল্যের দেখা মেলে। ১৩২ রানের জয়ে নিশ্চিত করে সিরিজ।
এবার বাংলাদেশের সামনে সুযোগ টানা দুই ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত করার। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের এমন সুযোগ তৈরি হওয়াটাইতো সৌভাগ্যের। বাংলাদেশ কি পারবে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ পকেটে পুরতে?