আশুলিয়া প্রতিনিধি : নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের মাশফি পরিবহনের চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় ৭ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের ঢাকা আদালতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আশুলিয়া গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা। এদিকে ঘটনার রাতেই হাসান নামে ডাকাত আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলো-সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার কুসুমভাঙ্গা গ্রামের মো. আকরাম হোসেনর ছেলে মো. হাসান, নাটোর জেলার সিংড়া থানার খিরবতা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মোতালেব, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার পানাহার গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল হোসেন, নওগাঁ জেলার মান্দা থানার পাটুববর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মিঠু, রাজশাহীর বাগমারা থানার শেখারিপাড়া গ্রামের মো. মামুন মিয়ার ছেলে পাপ্পু মিয়া, রংপুরের বীরগঞ্জ থানার ঝালবাড়ি গ্রামের হেলাল সরকারের ছেলে বাবু সরকার এবং সিরাজগঞ্জের রায়গহঞ্জ থানার পূর্ব পাইকড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। তাদের সবাই গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় বসবাস করতো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই বিলায়েত হোসনে জানান, গত সোমবার রাতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে কুড়িগ্রামবাহী মাশফি পরিবহনের চালককে জিম্মি করে যাত্রী বেশে চলন্ত বাসে ডাকাতরা সব লুটে নেয়। এ সময় যাত্রীদের ডাকা চিৎকারে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ তাদের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় বাসটি আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে হাসান নামে এক ডাকাতকে আটক করা হয়। বাকীরা পালিয়ে যায়। আটক ডাকাত হাসানের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকীদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে রাজধানীর গাবতলী থেকে মাশফি পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০৪৯০) একটি দূর পাল্লার বাস কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে রওনা হয়। পরে আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে যাত্রী বেশে ডাকাত উঠে বাসে। পরে পিস্তল দিয়ে চালককে জিম্মি করে যাত্রীদের হাত পা বেঁধে মারধর করে। মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে বাসটি গাজীপুরের চন্দ্রা মোড় থেকে ইউটার্ণ করে রাত ১১ টার সময় আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎতে পৌঁছালে যাত্রীদের ডাকা চিৎকারে বাসটি আটক করা হয়। এসময় কয়েকজন ডাকাত বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যায়।