স্টাফ রিপোর্টার
নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় “গ্রামীণ নারীর লোকায়ত জ্ঞানের চর্চা ও স্বীকৃতি নিশ্চিত হোক” এই পতিপাদ্যকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জে গ্রামীণ নারীদের নিয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলোর পথিক নারী সংগঠনের আয়োজনে এবং বারসিকের সহযোগিতায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরমত্ত গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
পিঠা উৎসবে ৪২জন নারী পাটি শাপটা, চিতই পিঠা, চুড়ি পিঠা, কাঁঠাল পাতা পিঠা, তেল পিঠা, বিস্কুট পিঠা, ছিটরুটি পিঠা, ডিম পিঠা, সমুচা পিঠা, মোহন বাঁশি পিঠা, মাছের কাঁটা পিঠা, রুটি পিঠা, তিল পুলি, শামুক পিঠা, দুধ পুলি, গোল পিঠা, ফুল পিঠা, জানালা পিঠা, সেমাই পিঠা, লাভ পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, মোরক সংশা, পাকন, মুঠা পিঠা, সাজ পিঠা, ভাপা পিঠা, গুলি পিঠা, চিরুনী পিঠা, সিম পিঠা, তারা পিঠা, মোরগ পাখি, পুতুল পিঠা, চুকুই পিঠা, কামরাঙ্গা পিঠা, বাদাম পিঠা, মুখশলা, ভাজা পুলি, কাচি পিঠা, দইলা পিঠা, চাটি পিঠা, দুধচিতই, সেমাই পিঠা, বড়া, নারিকেল পিঠা, তালের পিঠা, জামাই পিঠা, তিল পুলি, লবনাঙ্গ লতিকা, জবদানা, ভাপা পুলি, সিদ্ধ পুলি, নিমকী, পাতা পিঠাসহ ৫১ ধরণের পিঠা তৈরি করেন।
মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হানিফ মিয়ার সভাপতিত্বে পিঠা উৎসবে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মামুন সরদার, বারিসকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায় কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপ্লব হোসেন সেলিম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আলফাজ আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.হানিফ আলীসহ শিক্ষার্থীসহ প্রায় দুইশ গ্রামীন নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই পিঠা উৎসবে কল্পনা বেগম ৪১ রকমের পিঠা তৈরি করে ১ম, নুরুন্নাহার বেগম ২৭ রকমের পিঠা তৈরি করে ২য় এবং রাজেদা বেগম ২১ রকমের পিঠা তৈরি করে ৩য় হন।
অনুষ্টানে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে গ্রামীণ নারীরা জন্মলগ্ন থেকেই লোকায়ত জ্ঞান চর্চার ধারক ও বাহক। গ্রামীণ নারীর হাতে তৈরি বিভিন্ন রকমের পিঠা-পুলি যুগ যুগ ধরে আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করেছে। নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গ্রামীণ নারীর লোকায়ত জ্ঞানের চর্চা করে আসছে। এই পিঠা উৎসবে কল্পনা বেগম ৪১ রকমের পিঠা তৈরি করে ১ম, নুরুন্নাহার বেগম ২৭ রকমের পিঠা তৈরি করে ২য় এবং রাজেদা বেগম ২১ রকমের পিঠা তৈরি করে ৩য় হন।