মোঃ সাইফুল ইসলাম
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ঐতিহ্যবাহী ঘিওর হাটের মরিচ হাটা ও আশপাশের এলাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা। এতে যানবাহন ও জনগণের চলাচলে এমনকি ক্রেতা বিক্রেতাদের ব্যাপকভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত রোববার বৃষ্টি হওয়ার কারনে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় হাটের এ অবস্থা হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই হাটের ভেতরে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। কখনও গাড়ির চাকায় ছিটকে ময়লা আবর্জনাযুক্ত কাদা পানিতে নোংরা করে দিচ্ছে পায়ে হেঁটে চলা মানুষদের। কখনও খানা-খন্দে ভরা পিচঢালা কিংবা ইট বিছানো রাস্তায় উল্টে পড়ছে রিকশা ও জনগন। আবার কখনও কাদার সাগরে পড়ে হাবুডুবু খেয়ে যাচ্ছে পথচারী কিংবা হাট-বাজার করতে আসা ক্রেতা সাধারণ। প্রায়ই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্থানীয় ও আশপাশের এলাকার জনগণকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘিওর বাসস্ট্যান্ড, বাস টার্মিনাল, ধানহাট, পুরাতন গরুর হাট, মরিচ হাটাসহ বাজারের সিংহ ভাগেই ইট বিছানো রাস্তাগুলো খানা-খন্দে পরিণত হয়ে গেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেশির ভাগই প্রায় অকার্যকর থাকায় এসব রাস্তা ও বাজারের অভ্যন্তরে নীচু এলাকাগুলো সামান্য বৃষ্টিতেই ময়লা আবর্জনাযুক্ত কাদা পানিতে সয়লাব হয়ে থাকে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সর্বসাধারণের হাট-বাজার কিংবা চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে বুধবার হাটের দিন এ দুর্ভোগ আরও চরমে ওঠে বলে জানান স্থানীয়রা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার ভুক্তভোগী জনগণের মাঝে চরম অসন্তেষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী। ঘিওর বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপনা পরিষদ সভাপতি মোঃ হামিদুর রহমান আলাই জানান, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই বাজারের ভিতরে অনেক কাদা ও পানি জমে থাকে। এ বিষয়ে আমরা মিটিং করে উপজেলা প্রশাসন ও এমপি মহোদয়কে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ফল পাইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী সরকার রাখী জানান, বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপনা পরিষদের পক্ষ থেকে আমার কাছে কোন লিখিত ভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করা যায় আমরা করবো।