নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ ১৩ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেমিফাইনাল দ্বিতীয় লেগে স্বদেশি ক্লাব এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে (দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০) ২০১০ সালের পর ফাইনালে নাম লিখিয়েছে তারা। সেবার হোসে মরিনহোর নেতৃত্বে ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছিল ব্ল্যাক অ্যান্ড ব্লুজরা।
প্রথম লেগে এসি মিলানের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছিল ইন্টার। এগিয়ে থেকেও ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে দারুণ লড়াই করে লাওতারো-লুকাকুরা। যদিও প্রথমার্ধে জালের নাগাল পায়নি তারা। নাগাল পেতে দেয়নি এসি মিলানকেও।
বিরতির পর ৭৪ মিনিটে এগিয়ে যায় গ্রাস স্নেকরা। এ সময় বক্সের মধ্যে ডানদিকে থেকে রোমেলু লুকাকু বল বাড়িয়ে দেন লাওতারো মার্টিনেজকে। তিনি বল পেয়েই কাছের পোস্টে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন। বল গোলরক্ষক মাইক মাইগনানকে ফাঁকি দিয়ে জালে প্রবেশ করে।
বাকি সময়ে এই গোলটি আর শোধ দিতে পারেনি এসি মিলান। তাতে ইন্টার মিলানের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিলো রেড অ্যান্ড ব্ল্যাকরা।
এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে মিলানকে হারিয়ে ফাইনালে আসলো ইন্টার। এর আগে ২০০২-০৩ ও ২০০৪-০৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই দফা এসি মিলানের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ইন্টার।
তবে ৫০ বছর পর এই প্রথম চলতি মৌসুমে চার-চারবার এসি মিলানকে হারালো ইন্টার মিলান। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে একবারই এসি মিলানকে চার-চারবার হারাতে পেরেছিল তারা।
আরও একটি অবাক করা বিষয় হলো- এবারই প্রথম চারবারের মুখোমুখিতে একবারও ইন্টারের জালের নাগাল পায়নি মিলান।
আগামী ১০ জুন তুরস্কের ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান।