স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পৌর কাউন্সিলর সমেজ উদ্দিনকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে ঢাকার সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহীনুর রহমান ও যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হোসেনসহ ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার এবং ভূক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সিঙ্গাইর উপজেলা সদরে একটি রেস্তোরায় পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিনের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে সমেজ উদ্দিন সিঙ্গাইর বাজারের একটি টেইলার্সে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এমন সময় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লোহার রড ও দেশিয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সমেজ উদ্দিনের ওপর হামলা করেন। সমেজ উদ্দিনের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সমেজ উদ্দিনকে উদ্ধার করে উপেজলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনেরা।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন সিঙ্গাইর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ হোসেন, ছাত্রলীগের নেতা জাফর তালুকদার, আমিনুর রহমান, সোহেল রানা ও মনির হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে সমেজ উদ্দিনের বাবা আবদুস সাত্তার থানায় মামলা করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের শাহীনুর রহমান ও ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার রাত আটটার দিকে সিঙ্গাইর উপজেলা সদরে একটি রেস্তোরায় বসে তিনিসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী খাচ্ছিলেন। এ সময় মদ্যপ অবস্থায় প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপর সেখানে তাঁদেরকে মারধর করা হয়। পরের দিন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আবারও দুর্ব্যবহার করলে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী সমেজকে সামান্য মারধর করে। তবে এতে তিনি গুরুতর আহত হওয়ার কথা নয়। তাঁদের বিরুযদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
সিঙ্গাইর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।