আল আমিন হোসেন, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামের মাঠে পাটখেতে নিড়ানি দিচ্ছিলেন জাহিদ প্রামাণিক (৩০। আচমকা তাঁর ডান হাতের আঙুলে কিছু একটা কামড় দেয়। কামড় দেওয়া অংশে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া করতে থাকে। তিনি কাছেই একটি ডোরাকাটা সাপ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে মেরে ফেলেন। এরপর সেটি নিয়েই চলে যান স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাপটিকে বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১১টার দিকে জাহিদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাহিদ প্রামাণিক ওই এলাকার মাদু প্রামাণিকের ছেলে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘সাপটি আকারে খুবই ছোট। পেট বেশ ফোলা। ধারণা করা হচ্ছে, ছোবল দেওয়ার আগে সাপটি কিছু খেয়েছিল। এ জন্য হয়তো বিষ নাও থাকতে পারে। কারণ রাসেল ভাইপার একটি বিষধর সাপ। রোগীকে ভ্যাকসিন (অ্যান্টিভেনম) দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
জাহিদ প্রামাণিকের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। পাংশা থেকে তিনি বাসে করে কুষ্টিয়া আসেন। বেলা ১১টার দিকে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গের ব্যাগে ছিল মরা সাপটিও।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদ প্রামাণিক বলেন, ‘কাজ করার সময় সাপে কামড় দিয়েছিল। সাপটিকে মেরে ফেললাম। হাতের আঙুলের মধ্যে জ্বলে যাচ্ছিল। তারপর সাপ মেরে সাথে করে নিয়ে পাংশা হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে কুষ্টিয়া পাঠাল। সাপটিকে এখনো সাথেই রেখে দিয়েছি।