জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় শাশুড়ির জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে দাফনে বাধা দিয়েছেন পুত্রবধূ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে মৃতের দাফন সম্পন্ন করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
ওই নারীর নাম শাহনাজ বেগম (৪৫)। তিনি লোহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী আব্দুর রহিমের স্ত্রী। আর প্রয়াত আনোয়ারা বেগম (৮০) ওই গ্রামের মৃত মোবারক আলী খানের স্ত্রী। সম্পর্কে দুজন পুত্রবধূ-শাশুড়ি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, এক নারী খোঁড়া কবরে শুয়ে রয়েছেন। গ্রামবাসীরা তাকে সেখান থেকে ওঠানোর চেষ্টা করছেন। কবরের পাশে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন। গ্রামবাসীদের কেউ ওই নারীকে বলছেন- আপনি কাগজে না পাইলে কি করবেন? আপনি কি কবরে শুয়ে জায়গা নেবেন? আবার কেউ কেউ ওই নারীর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মাটি চাপা দেওয়ার কথাও বলছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, মৃত মোবারক ও আনোয়ারা দম্পতির পাঁচ কন্যা ও এক ছেলে। জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে শাশুড়ি ও ননদদের সঙ্গে শাহনাজের বিরোধ চলছিল। শাশুড়ি মারা যাওয়ার আগে দাফনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে যান। সেখানে দাফনের জন্য তার কবরও খোঁড়া করা হয়। ওই জমি নিজেদের দাবি করে শাহনাজ তার শ্বশুরের কবরের পাশে শাশুড়িকে দাফন করতে বলেন। কিন্তু তার ননদরা মায়ের ওসিয়ত করা স্থানে দাফন করবেন বলে জানান। এ নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে শাহনাজ তার শাশুড়ির জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। এ খবর পেয়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাহনাজ বেগম নামে এক নারী তার শাশুড়িকে কবর দিতে বাধা দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই গৃহবধূর কর্মকাণ্ডে তার গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরে শাহনাজের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তার ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।