মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার মিজান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাংচুর, মালিক-কর্মচারীদের মারধর এবং ২লাখ ২০ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
মোঃ রাজু (২৯) ও তার সহযোগী মোঃ রাসেল (২৮)সহ ২০/২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় অভিযোগ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং দৌলতপুর উপজেলা বিআরডিবি’র ৫ বারের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমি গত ১৫ বছর ধরে উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। আমার স্ত্রী মোছাম্মৎ কুলসুম আরা উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ছেলে হুমায়ুন কবীর একজন আইনজীবী। আমার পরিবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু স্থানীয় সমেতপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে রাজু এবং তার লোকজন দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে চাঁদা দাবী করছে। চাঁদা না দেওয়ায় ভাংচুর ও মারধরের হুমকী দিয়ে আসছিলো।
আজ (রবিবার) সকাল ১১টার দিকে রাজু ও তার সহযোগীরা লোহার রড, হাতুরি, কাঠের বাটাম নিয়ে আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে নিলা ফুলা জখম করে। আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তারা আমার স্ত্রী মোসাম্মৎ কুলসুম আরা, কর্মচারী মোঃ মোরশেদ ও মোছাঃ ডলিকেও মারধর করে। তারা আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জানালার গ্লাস, ডিজিটাল সাইনবোর্ড, স্টীলের সাইনবোর্ড, কেচি গেট ও দরজার তালা, কিছু মেশিন ভাংচুর করে। এরপর রাজু ক্যাশবাক্স থেকে ২লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে, তারা আসার আগেই রাজু এবং তার সহযোগিরা চলে যায়। আমি দৌলতপুর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে, তা এখনও মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহত কর্মচারী মোরশেদকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমিসহ আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি এবং ওষুধ সেবন করছি।’ এব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ রাজু মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে কেটে দেন। এরপর তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’