আমার নিউজ ডেক্স:
আজ শনিবার (১ আগস্ট)। মানিকগঞ্জ সদরের গিলন্ড এলাকায় মুন্নু সিটিতে তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। জন্ম ১৭ আগষ্ট ১৯৩৩/মৃত্যু ১আগস্ট ২০১৭।
মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি এতিম ও দুস্থ শিশুদের মাঝে বিশেষ খাবার বিতরণ করা হবে।
হারুনার রশিদ খান মুন্নুর পৈতৃক বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস (সিএ) কোর্স সম্পন্ন করা মুন্নু ঢাকার ওয়ারীতে মুন্নু আর্ট প্রেসের মাধ্যমে তাঁর কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন, যার পূর্ণতা পায় মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। তিনি মুন্নু সিরামিক, মুন্নু জুটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু ফেব্রিকস, মুন্নু অ্যাটায়ার লিমিটেডসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান করেছেন। সমগ্র জীবনের উপার্জন মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে উইল করেছেন, যার মাধ্যমে শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে রেখেছেন অনন্য অবদান। মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, মুন্নু নার্সিং ইনস্টিটিউট, মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁর সৃষ্টি। কৃষিপ্রধান মানিকগঞ্জকে শিল্পাঞ্চলে রূপান্তরের পেছনে তাঁর ভূমিকা অসামান্য। জেলাবাসী তাঁকে ‘দানবীর’ হিসেবে স্মরণ করেন।
হারুনার রশিদ খান মুন্নু বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে এবং ২০০১ সালে মানিকগঞ্জ-২ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে দুটি আসনে জয়লাভ করার পর তিনি (দপ্তরবিহীন) মন্ত্রী হন।
হারুনার রশিদ খান মুন্নুর স্ত্রী হুরন নাহার রশিদ, দুই কন্যা আফরোজা খান রিতা ও ফিরোজা মাহমুদ এবং কন্যাদের স্বামী-সন্তান রেখে গেছেন। তার বড় মেয়ে আফরোজা খান রিতা মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।