এস এম আকরাম হোসেন:
মানিকগঞ্জে জেলা আওয়ামীলীগের পদধারী নেতাদের দিয়ে পৌর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।এতে পৌর আওয়ামীলীগের নেতা ও জেলা আওয়ামীলীগের পদধারী নেতা পৌর আওয়ামীলীগের কমিটিতে সদস্য পদে স্থান পাওয়া নেতাদের মধ্যে ক্ষোপ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জেলা আওয়ামীলীগের প্যাডে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড: গোলাম মহিউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: মো: আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।
দলীয়সুত্রে জানা গেছে, পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলনে মো: আরশেদ আলী বিশ্বাস সভাপতি ও মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।সম্মেলনের পরে পৌর আওয়ামীলীগকে পূর্নাঙ্গ কমিটি করার লক্ষে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড: গোলাম মহিউদ্দীন। সেই মোতাবেক পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত কয়েক মাস পূর্বে গত পনের বছরের পৌর আওয়ামীলীগের সক্রিয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীনের নিকট জমা দেন।
গত বুধবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জমা দেওয়া ৭১ সদস্য কমিটি থেকে ২৬ জনকে বাদ দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সহ ১১ জনকে পৌর আওয়ামীলীগের কমিটিতে সদস্য পদে স্থান দেওয়া হয়েছে।
পৌর আওয়ামীলীগের কমিটিতে সদস্য পদে স্থান পাওয়ার বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না।কেন এমনটা হলো জানি না, আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রে এধরনের বিধান আছে কি না জানা নাই। তবে আমি মনে করি আমাকে অসম্মান করা হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, পৌর আওয়ামীলীগের কমিটিতে পৌরসভার বাহিরের ব্যক্তিদের সদস্য করা হয়েছে।গঠনতন্ত্রে এ ধরনের বিধান আছে কিনা জানি না। এছাড়া সদস্য করার বিষয়ে সিনিয়রদের নিচে রাখা হয়েছে।
এবিষয়ে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আমি ও আমার সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস পৌরসভার ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে যে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি জমা দিয়েছে।সেই কমিটির ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে জেলা আওয়ামীগের সহ সভাপতি সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম, সহ সভাপতি মেয়র রমজান আলী,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: বাদরুল ইসলাম খান বাবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম হোসেন খান ভুনু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাসুদেব কুমার সাহা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল জলিল, সদস্য এ্যাড: দীপক কুমার ঘোষ,এনামুল হক রুবেল মোট ১১ জন পৌর আওয়ামীলীগের কমিটিতে সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে।অন্যান্য ১৫ টি পদে নিজেদের পছন্দের ব্যাক্তিদের রাখা হয়েছে।এদের মধ্যে অনেকে পৌরসভার বাসিন্দা নয়।এতে পৌর আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা মর্মহত হয়েছে। আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে না জানিয়ে এধরনের কমিটি কেন করা হলো জানি না।এধরনের কমিটি ঘোষনা দেওয়ায় পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।
পৌর আওয়ামীলীগের কমিটির বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড: গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, পৌর আওয়ামীলীগ গাইড করার জন্যই জেলা আওয়ামীলীগের কযেকজন নেতাদের সদস্য পদে রাখা হয়েছে।প্রত্যেক উপজেলা কমিটিও এমন করা হয়েছে।যাদের সদস্য রাখা হয়েছে তাদেরকে আগে বলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটিতে রাখতে তাদের বলার প্রয়োজন নাই। পৌরসভার বাসীন্দার বাহিরে কাউকে কমিটিতে রাখা হয়নি।