স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন কাজ করে গেছেন। শোষিত বঞ্চিত বাঙালির জীবন মানের উন্নয়নই ছিল বঙ্গবন্ধুর নিরন্তর প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন উপলব্ধির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।’
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠ। গোপালগঞ্জের মানুষ ভাগ্যবান যে তাদের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু খোকা থেকে জনমানুষের নেতায় পরিণত হন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মহাজাগরণের পথিকৃত। ব্যক্তিগত জীবনের সব চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করেছেন তিনি।
স্পিকার বলেন, ক্ষমতার প্রতি বঙ্গবন্ধুর কোনো আকর্ষণ ছিল না বলেই তিনি বলতে পেরেছিলেন ‘আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই’।
স্পিকার বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে নেতৃত্ব গুণাবলী সম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন জন্মগত নেতা। তিনি বাল্যকাল থেকেই অন্যায়ের প্রতি আপোষহীন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ভাগ্যহত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করেছেন এবং বারবার কারা অন্তরীণ হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির প্রধান সমন্বয়কারী মোল্লা মো. আবু কাওছার এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাধারণ সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ- ৩ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বক্তব্য প্রদান করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকার সকল পর্যায়ের সদস্য, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।