জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক
তন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তার জন্য আইন-কানুন, বিচার বিভাগসহ গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে। তারা লুটপাট ও টাকা পাচারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। জনগণ এই সরকারকে আর একদিনও ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
মঙ্গলবার মতিঝিল শাপলা চত্বরে গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত গণসমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলর (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
সাইফুল হক বলেন, এই সরকার লুটপাটের সিন্ডিকেট করে বাজারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং লুটপাটের মাফিয়া সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য আরও একবার নীল নকশার নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এদেশে কথা বলার কোনো স্বাধীনতা নেই। বিরোধীদল ও সত্য দমনকরার জন্য বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সভাপতি আদিলুর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের সাজা তারই প্রমাণ।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার অধিকার একজন নাগরিকের সাধারণ অধিকার। এই সরকার নাগরিকের সব অধিকার হরণ করে বিনা ভোটে ক্ষমতায় রয়েছে এবং আবারও বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। জীবন দিয়ে হলেও এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে, গণআন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে পরিণতির মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে। আগামীতে কোনো ফ্যাসিবাদী মহলকে ক্ষমতা দখল করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।
শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, দমনপীড়ন করে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। গণঅভ্যুত্থানের জন্য জনগণ তৈরি হয়েছে আন্দোলন সংগ্রাম আরও বেগবান করা হবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল মতিঝিল শাপলা চত্বর হতে হাটখোলা সড়ক হয়ে সালাউদ্দীন হাসপাতাল মোড়, টিকাটুলি গিয়ে শেষ হয়।