1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

ঘিওরে ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৭ বার দেখা হয়েছে

মোঃ সাইফুল ইসলাম, ঘিওর :

মানিকগঞ্জের  ঘিওরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেছেন । অভিযুক্ত সোহেল বেপারী (৩৫) উপজেলার কুস্তাবন্দর গ্রামের ফকির মিয়ার ছেলে। সে বিবাহিত, তার দুই সন্তান রয়েছে। পরে সোহেল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু উজ্জল ওরফে গড়িয়া, মহরম, শাহাবুদ্দিন ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর বের হওয়ার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , তিন মাস আগে প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী মেয়ে। এসময় সোহেল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ঐ কিশোরীকে টাকার লোভ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওইসব কথা কারও কাছে প্রকাশ করলে ওই কিশোরীকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় । তাই ভয়ে ওই কিশোরী কাউকে বলেনি। ঘটনার পর কিশোরীর শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হলে তার মায়ের মনে সন্দেহ হয়। পরে তাকে মেডিকেল চেকআপ করালে  তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় দিশাহারা ও নিরাপত্তাহীনতায়  ভুগছেন হতদরিদ্র দাস সম্প্রদায়ের ঐ পরিবার।

এ ঘটনার বিচার দাবি করে ঘিওর থানার মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত সোহেল ও সহযোগীরা এলাকার  প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ধামচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং কিশোরীর বাবা মাকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। ভুক্তভোগী কিশোরী ও মামলার এজাহারে জানা যায়, সোহেল এরকম ভাবে কয়েকদিন শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন করে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত সোহেলের স্ত্রী ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার মাকে তাদের বাড়িতে গিয়ে বেদম মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে  শিশুটির মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমি বিচারের আশায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

আমার এই শিশু সন্তানকে যে নির্যাতন করেছে, তার উপযুক্ত বিচার চাই। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকে তিন ধর্ষক আত্মগোপন করেন বলে জানায় এলাকাবাসী। ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১)/৩০ তৎসহ ৩২৩/৩৫৪/৫০৬(২) পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করতে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury