1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন

মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রোগীদের চরম দূর্ভোগ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১১০ বার দেখা হয়েছে

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীরা বিভিন্ন ভাবে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। হাসপাতাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাই এর জন্যে দায়ী বলে অভিযোগ রোগী ও সংশ্লিষ্টদের।
গত বৃহসপতিবার রাত ৮ টার দিকে কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৪র্থ তলায় সার্জারি (পুরুষ) ওয়ার্ডে যেয়ে এক ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। টয়লেটে যাবার জন্যে রোগীরা সিরিয়াল ধরে আছে তবে সিরিয়াল পেতে অনেক সময় লাগছে।
এই ওয়ার্ডে ৪৫জন রোগীর জন্যে বরাদ্দ ২টি টয়লেটের মধ্যে ১টির নষ্ট ও ময়লা-আর্বজনার ভাগারে পরিনত হয়েছে। শুধু ১টি টয়লেট কোন মতে চালু আছে। ৪৫ জন রোগী ও তাদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা লোকজন সহ প্রায় ১০০ মানুষের জন্যে শুধু ১টি টয়লেট চালু। অপর দিকে গোসলখানার পানি আটকে তা ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে রয়েছে।

উপস্থিত অনেকেই জানান যে,সকাল বেলা অনেক অসুস্থ রোগীকে টয়লেটে যাবার জন্যে ১/২ ঘন্টাও অপেক্ষা করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানের (সহকারী পরিচালক) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ সৌমেন চৌধুরীর সাথে ফোনে কথা হলে প্রথমে বলেন,এটা গনপূর্ত বিভাগের কাজ। পরে অবশ্য বলেন,সমাধানের চেষ্টা করা হবে।খাবারের মান ও পরিবেশনের অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতি, নষ্ট গোসলখানা সহ নানান অনিয়য়ের বিষয়ের কথা বলা হলে তিনি বলেন সমাধানের চেষ্ঠা করা হবে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তার সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন,ঐ টয়লেটের কমোডটা নষ্ঠ হয়েছে এবং আমরা বার বার গনপূর্ত বিভাগে জানানোর পরেও তারা এটার কাজ করে দিচ্ছে না।ছোট ছোট মেরামতের কাজও কি গনপূর্ত বিভাগ করে দিবে ? আপনাদের কি কোন টেকনিশিয়ান নেই ?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমাদের টেকনিশিয়ান আছে। তবে এধরনের কি কাজ গনর্পূত করে দেয়?পরিস্কারের দায়িত্বও কি গনর্পূতের ? তিনি বলেন, না এ জন্যে আমাদের লোক আছে। তাহলে পরিস্কার থাকে না কেন ?এ প্রশ্ন এড়িয়ে গিযে তিনি বলেন,আমি জানার পরেই ক্লিন করে দিতে বলেছি।আসলে শুক্রবার দুপুরেও দেখা যায় ময়লার ভাগার টয়লেটটি কেউ যেন ছবি তুলতে না পারে এ জন্যে তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।হাসপাতালটিতে ক্লিনার,আয়া সহ মোট ১৬০ জন লোক নিয়োগ দেয়া আছে বলেও জানান ভারপ্রাপ্ত পরিচালক।হাসপাতালে আগত রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আনসার সদ্যসের নিয়মিত খারাপ আচরন,অপরিস্কার পরিবেশ সর্বত্র,নিন্ম মানের খাবার তাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিবেশন সহ নানান অনিয়মে জর্জরিত।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বিরাট অংশ মন্ত্রী-সচিব,স্বাচিপ,সরকারী দলের নেতা-কর্মী বা সরকারী দলের ঘনিষ্ট বলে নিজেদের জাহির করে এবং কোন অনিয়মের কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয় বলেও অভিযোগ রোগী,রোগীর আত্মীয় ও হাসপাতালে আগত বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ গনর্পূত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শারমীন আক্তার বলেন,কোন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ৩ বছর পর মেনটেনেন্স এর জন্যে বরাদ্দ আসে।এই প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে।এটার মেনটেনেন্স এর বরাদ্দ পেতে আরো দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে।তাবে যেহেতু হাসপাতাল সেনসেটিভ বিষয় তাই আমরা বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে সব সময়ই কাজ করে দেই।এ বিষয়ে আমাদের বলাই হয় নাই।বললেই আমি কাজটি করে দিতাম।বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপনাদের অবগত করেছে কি না ? তিনি বলেন,আমাদের জানায় নি।
হাসপাতালের রোগীরা বলেন,খুবই ছোট-খাটো সমস্যার কারনে আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এসব খুবই ছোট খাটো কাজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ানরাই করতে পারে। আসলে এটা শুধুই দায়িত্বহীনতা আর অবহেলা ছাড়া কিছুই না।
রোগী ও এলাকাবাসীর দাবি দ্রুতই হাসপাতালের যাবতীয় অনিয়ম-র্র্র্দূনীতি বন্ধ করা হোক এবং প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি করে সেবার মান নিশ্চিত করা হোক।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury