গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস একটি প্রস্তাব দিয়েছে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্ততায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পাঠানো প্রস্তাবের জবাব হিসেবে তারা এই প্রস্তাব পেশ করেছে।
হামাসের পক্ষ থেকে তিন ধাপে মোট ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হামাসের এই প্রস্তাবের একটি কপি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে এসেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন ধাপের এই যুদ্ধবিরতির প্রতিটি ধাপের স্থায়ীত্ব হবে ৪৫ দিন করে। অর্থাৎ যুদ্ধবিরতির মোট সময়কাল হবে ১৩৫ দিন।
হামাসের প্রস্তাবে তাদের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া গাজার পুনর্গঠন শুরু, ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার, আটক বন্দীদের মধ্যে যারা মারা গেছে, তাদের লাশ ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।
হামাসের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির সময়ে তাদের কাছে থাকা ইসরায়েলি নারী জিম্মি, ১৯ বছরের কম বয়সী পুরুষ, বয়স্ক ও অসুস্থদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তি দিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে হামাসের কাছে থাকা পুরুষ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলকে জনবহুল এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। আর তৃতীয় ধাপে লাশ বিনিময় করা হবে।
হামাসের আশা, তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির দুপক্ষই যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। গাজার নিয়ন্ত্রণ করা হামাস নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েলের জেলে থাকা দেড় হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তির বিষয়টি সংযুক্ত করার কথা জানিয়েছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রয়াসকে জোরদার করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন। তিনি গত রাতে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। এর আগে তিনি সৌদি আরব এবং মিসর সফর করেছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এর আগে বলেছিলেন, হামাস নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না।