স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জে স্বামীর ঢেলে দেওয়া গরম পানিতে ঝলসে গেছে আন্তসত্তা স্ত্রীর শরীর। গৃহবধু লতা আক্তার (১৯) ঝলসানো শরীর নিয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে। এব্যাপারে সোমবার লতার বাবা বাদি হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লতার বাবা বিশা খাঁ জানান, এক বছর আগে সদর উপজেলা বেউথা গ্রামে আব্দুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়া (২৩) এর সাথে তার মেয়ে লতা আক্তারের বিয়ে হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজন বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে। বর্তমানে তার মেয়ে সাড়ে চার মাসের অন্তসত্তা। গত ৭ এপ্রিল দুপুরে সুজন মিয়া গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলে তার মেয়েকে। গরম পানি হওয়ার পর সুজন গোসলের জন্য তার মেয়েকে গামছা নিয়ে আসতে বলে। গামছা নিয়ে যাওয়ার পর সুজন গামছা ময়লা কেন মর্মে তার মেয়েকে মারধর করে। এক পর্যায়ে গোসলের গরম পানি তার মেয়ের শরীরে ঢেলে দেয়। এতে তার মেয়ের পিট ও দুই হাত ঝলসে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সন্ধ্যায় তার মেয়েকে সুজনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযুক্ত সুজনের শাস্তির দাবিতে তিনি সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতর লতা আক্তার জানান, প্রায় সময় কোন না কোন কিছু অজুহাতে তার স্বামী সুজন তাকে মারধর করে। রোববার তাকে হত্যার উদেশ্যে শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও)মো: লুৎফর রহমান জানান, গরম পানিতে ওই গৃহবধুর ৩০ ভাগ শরীর ঝলসে গেছে। বর্তমানে শংকা মুক্ত থাকলেও এধরনের রোগীকে ৭২ ঘন্টা অভজারভেশনে রাখা হয়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) রকিবুজ্জমান জানান, শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে লতা আক্তারের বাবা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামী সুজন মিয়াকে গ্রেফতারের চেস্টা চলে।