নিজস্ব প্রতিবেদক
আর মাত্র কয়েকদিন বাকী বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এরই মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাটে ইলিশের দামে লেগেছে বৈশাখি হাওয়া।
বৈশাখি উৎসব শুরু হতে না হতেই বুধবার সকালে আরিচা ঘাটের মাছের আড়তে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পদ্মা নদীর সুস্বাদু ইলিশের চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে ইলিশের দাম ছিল সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সাত দিনের ব্যবধানে ইলিশের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭শ থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত। বড় সাইজের ১ কেজি ইলিশ ৩ হাজার, হাফ কেজি ওজনের ইলিশ ১২শ থেকে ১৫টাকা এবং এর চেয়ে ছোট সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ৭শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ঢাকা থেকে ইলিশ নিতে আসা গোলাম রাব্বানী বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পদ্মা নদীর সুস্বাধু ইলিশ কেনার জন্য আরিচা ঘাটে মাছের আড়তে এসেছি। উদ্দেশ্য পদ্মা নদীর ইলিশ ক্রয় করে পরিবারের সবাই মিলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করব। কিন্ত ইলিশের দাম যে এত বেশি হবে তা ভাবতে পারিনি। আমি প্রায়ই আরিচা ঘাটে মাছ কিনতে আসি। দুই মাস আগে এসে ৫/৬শ গ্রাম ওজনের ১৫ কেজি ইলিশ মাছ কিনে নিয়েছি। তখন দাম নিয়েছিল প্রতি কেজি ৭শ টাকা।
নবীনগর থেকে আসা অপর এক ক্রেতা জলিল মিয়া জানান, ইলিশের দাম বাড়ার কোন কারণ দেখিনা। দুই সপ্তাহ আগে যে ইলিশ ৭শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সে ইলিশ এখন ১৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সুযোগের সদ্বব্যাবহার করছে জেলেরা।
মাছ বিক্রেতা ভরত হলদার জানান, জাটকা সংরক্ষনের জন্য নভেম্বর হতে জুন মাস পর্যন্ত ১০ ইঞ্চির ছোট ইলিশ (জাটকা) ধরা বন্ধ। নদীতে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসময় সারাদেশে জাটকা আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাত করণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। ফলে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে ইলিশ বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে পহেলা বৈশাখের পর ইলিশের দাম আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে বলে জানান তিনি।