ফাইল ছবি/সংগৃহীত
আমার নিউজ ডেক্স,
গত বছরের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি কমেছে ৭.৭২ শতাংশ। গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে মোট ৮৭ হাজার ৮৫২ জন। বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমইটি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে সৌদি আরবে। এ সময় দেশটিতে মোট ৪৯ হাজার ২৬২ জন বিভিন্ন সংস্থায় কাজ নিয়ে গেছেন। যা জানুয়ারি মাসের মোট জনশক্তি রপ্তানির ৫৬.০৭ শতাংশ। এরপরই রয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে মোট ১৪ হাজার ৩৫২ জন কর্মী রপ্তানি হয়েছে। যা মোট জনশক্তি রপ্তানির ১৬.৩৪ শতাংশ। আর জনশক্তি রপ্তানিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে কর্মসংস্থান হয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জন। যা জানুয়ারি মাসে জনশক্তি রপ্তানির ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এছাড়া, গত জানুয়ারি মাসে কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে দুই হাজার ৭৮৫ জন, ওমানে ৩০২ জন, কাতারে দুই হাজার ১৭ জন, লেবাননে ৩৯৭ জন, জর্ডানে একহাজার ৪৩০ জন, লিবিয়ায় ৯৪ জন, সুদানে ২ জন,সিঙ্গাপুরে তিন হাজার ৬০১ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৪৭ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৯৫ জন, ইতালিতে ১৭ জন, জাপানে ৭৪ জন মৌরিতাসে ১ জন এবং অন্যান্য দেশে দুই হাজার ৩৮০ কর্মী রপ্তানি হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২১০০.৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৪৭.১২ মিলিয়ন ডলার এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ২৪০.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২০৭.৫৫ মার্কিন ডলার।
এছাড়া বাহরাইন থেকে এসেছে ৬৪.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, কুয়েত থেকে এসেছে ১৩৪.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওমান থেকে এসেছে ৮৮.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, কাতার থেকে এসেছে ১১০.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সৌদি আরব থেকে এসেছে ১৭৫.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, লিবিয়া থেকে এসেছে ০.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছে ১০.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। হংকং থেকে এসেছে ১.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইতালি থেকে এসেছে ১৩৭.৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ১৫৮.৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সিঙ্গাপুর থেকে ৭১.৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জার্মানি থেকে ১১.৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাপান থেকে এসেছে ৬.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছে ১১.৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও এর বাইরে অন্যান্য দেশ থেকে এসেছে ২২১.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।