টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় নাম ছিল ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা ও চেক প্রজাতন্ত্রের সুদেশ উইকরামাসেকারার। কিন্তু ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের হ্যাংজুতে এশিয়ান গেমসে সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলেন নেপালের কুশাল মাল্লা। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে তিনি মাত্র ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে মিলার-রোহিতদের পেছনে ফেলেন। কিন্তু ৫ মাসের ব্যবধানে তার রেকর্ডটিও ভেঙে গেল এবং সেটি তাদের ঘরের মাঠেই।
আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে নেপাল-নেদারল্যান্ডস-নামিবিয়াকে নিয়ে শুরু হয়েছে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কীর্তিপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নেপাল-নামিবিয়া। এই ম্যাচে মাত্র ৩৩ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন নামিবিয়ার অলরাউন্ডার জান নিকোল লফটি ইয়াটন। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ১১টি চার ও ৮ ছক্কায় ১০১ রান করে আউট হন তিনি। তার হাঁকানো বাউন্ডারি থেকেই আসে ৯২ রান। যা নতুন একটি রেকর্ড।
১০.৪ ওভারের সময় দলীয় ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় নামিবিয়া। এরপর মাঠে নামেন ইয়াটন। ওই ওভারে ১ বল খেলে ১ রান করেন। পরের ওভার থেকেই আক্রমণ শুরু করেন। গুলসান ঝা’র ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে তোলেন ১৭ রান। পরের ওভারে একটি বাউন্ডারি হাঁকান। পরের ওভারে একটি ছক্কা। পনেরতম ওভারে দীপেন্দ্র সিং আইরির ওভারে দুটি চার ও এক ছক্কায় তোলেন ১৫ রান। তাতে ১৭ বলে ৪টি চার ও ৪ ছক্কায় তার রান হয়ে যায় ৪৬!
সোমপালের করা ১৬তম ওভারে ৪ হাঁকিয়ে ফিফটি করেন মাত্র ১৮ বলে। ওই ওভারে ১৪ রান নিয়ে ৬০ রানে পৌঁছান মাত্র ২১ বলে। কারানের করা ১৭তম ওভারে আবারও ১৫ রান নেন দুই চার ও এক ছক্কায়। তাতে ২৫ বলে তার রান হয় ৭৫। বোহারার করা ১৮তম ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় আরও ১৫ রান নিয়ে ৩০ বলে পৌঁছান ৯০ রানে। আর ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা ও তৃতীয় বলে চার হাঁকিয়ে মাত্র ৩৩ বলে সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়েন। এ সময় ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৩৬ বল খেলে ১০১ রান করে অবিনাশ বোহরার বলে গুলসান ঝা’র হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে থামে তার ঝড়। ইয়াটনের তাণ্ডবে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তোলে নামিবিয়া। অথচ ১০ ওভারে তাদের রান ছিল ৬০! পরের ১০ ওভারে তারা তোলে ১৪৬ রান।
জবাবে ১৮.৫ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয় নেপাল। নামিবিয়া জয় পায় ২০ রানে। অবধারিতভাবে ম্যাচসেরা হন ইয়াটন।