স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জের চর বেউথা ও আন্দারমানিক এলাকার সড়কটি মেরামতে ধীরগতির কারণে আসন্ন ঈদযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ঈদের মৌসুমে হেমায়েতপুর -সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক হয়ে ছোটগাড়ি, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ কয়েক হাজার যানবাহন পাটুরিয়া ঘাটমুখে চলাচল করে। ফলে গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দক্ষিণাঞ্চলগামী যানবাহনের বাড়তি চাপ কমে গেছে। তবে চলতি বছর মানিকগঞ্জের বেউথা এলাকায় দেড় কিলোমিটার সড়কে মেরামত কাজ করায় সহসা এ আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার উপযোগী হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও চালকরা। সড়কের মেরামত কাজ ঈদের আগে শেষ না হলে দক্ষিণাঞ্চলগামী ১৭ জেলার যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে। সেই সাথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাটে বাড়তি চাপ পড়বে। তবে এলজিইডির দাবি, ঈদের আগে অন্তত ছোট যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে বেউথা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক মেরামত করায় সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ অংশটি স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন। সড়কটি মেরামতে শ্রমিকরা কাজ করছেন।
আব্দুল মতিন নামে একজন মোটরসাইকেলচালক বলেন, ঈদ মৌসুমে পাটুরিয়া হয়ে দক্ষিণাঞ্চলগামী কয়েক হাজার যানবাহন সড়কটি ব্যবহার করে। এতে করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহনের চাপ কমে। এছাড়া হরিরামপুর উপজেলার যাত্রীরা এ সড়কটি ব্যবহার করে। দ্রুত এ সড়ক চালু না হলে ঈদ মৌসুমে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে চাপ বাড়বে।
স্থানীয় মো. মিন্টু মিয়া বলেন, মেরামত কাজ করায় সড়কটি এখন পুরোপুরি বন্ধ। ভিতরে ক্ষেতের আইল দিয়ে একটি সড়ক দিয়ে এইটুকু অনেক কষ্টে পাড়ি দেয়। কিন্তু ঈদ মৌসুমে যানবাহনগুলো কিভাবে যাবে? দ্রুত মেরামত কাজ শেষ না হলে ভোগান্তি বাড়বে। কয়েক মাস ধরে ধীরগতিতে কাজ করায় এ অবস্থা হয়েছে।
তৌফিক হোসেন নামে একজন কর্মজীবী বলেন, ঝিটকা থেকে মুন্নু মেডিক্যাল হয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়৷ যানবাহন খরচও বেশি হচ্ছে, সময়ও বেশি লাগছে। তিন মাসের বেশি হয়ে গেলেও ধীরগতির মেরামত কাজের কারণে সড়কটি এখনো চালু হয়নি।
স্কুলশিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, তিন মাস ধরে পুরো সড়কটি বন্ধ রেখে মেরামত কাজ করায় হরিরামপুর ও সদর উপজেলার শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। প্রতিদিন পায়ে হেঁটে এ অংশটি পাড়ি দিতে হয়। রোজার দিনে কষ্ট আরো বেড়ে গেছে।
পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু মো. নাহিদ বলেন, ঈদ মৌসুমে ১৭ জেলার যাত্রীরা এ সড়কটি ব্যবহার করে। এছাড়া জেলার সাথে উপজেলার যোগাযোগে এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত ঈদের আগে সড়কটি ব্যবহার উপযোগী করতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, ঈদের আগে অন্তত ছোট যানবাহনগুলো চলাচলের উপযোগী করতে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।