মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের স্মৃতিতে পুস্পস্তবক দিতে যাবার সময় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির র্যালীতে ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫ নেতা-কর্মী আহত।গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অপর দিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির র্যালী হতে পাল্টা ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগের হামলাকারীরা।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম কুন্টু জানান,স্বাধীনতা দিবসের সকাল সাড়ে ৮টার সময় উপজেলা বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী র্যালী সহ শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক দিতে গেলে ইউএনও অফিসের ক্লার্ক বলেন,রমজানের মাস হওয়াতে ইউএনও স্যার বলেছেন,সকাল ৯টায় ফুল দেয়া শুরু হবে।এজন্যে আপনারা পরে আসুন।তখন আমরা র্যালী নিয়ে খাদ্য গুদামের নিকট পৌছালেই উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাজু আহম্মেদের নেতৃত্বে রতন,আকাশ,সাকিব,শিহাব,রাসেল,ডিপু,সুমন সহ ছাত্রলীগের ১৫/২০ জনের ক্যাডার বাহিনী লাঠি,রড়,লোহার পাইপ দিয়ে আমাদের র্যালীর উপর অতর্কিত হামলা করে।এসময় শ্রমিকদল নেতা মো: শাহমুদ্দিন,উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো: শাহাদত,শ্রমিকদল নেতা টিপু সুলতান সহ ৫জন আহত হয়।এর মধ্যে মো: শাহমুদ্দিনের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়াতে সাথে সাথে তাকে স্থানীয় দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।তবে তার অবস্থা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাজু আহম্মেদ বলেন,বিএনপির লোকজন আমাদের সাথে গ্যাঞ্জাম করেছে এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।আমাদের ছাত্রলীগের ছেলেরাও আহত হয়েছে।
এ হামলার ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর শহীদদের সম্মান জানাতেও আজ বাধা দেয়া হচ্ছে।আসলে ভোটচোর ,জনসমর্থনহীন এ জালিম সরকারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগের অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে।এক্ষুনি এদের নিয়ন্ত্রন করুন ,নয়তো জনরোষে এ পালাবার পথ পাবে না।তিনি বলেন,আমার স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগনের নিকট পৌছানোর জন্যে আজ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মাঠে আছি এবং জনগনকে সাথে নিয়েই সফল হবো ইনশা আল্লাহ।