সাধারণত ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে। তবে, এবার সেই চিরচেনা চিত্র দেখা যাচ্ছে না। স্বস্তিতে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা বাসে করে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন। অন্যান্য বার ঈদকে কেন্দ্র করে যেমন যাত্রীদের চাপ থাকে, এবার তেমন চাপ নেই।
ঝিনাইদহগামী যাত্রী আকিব শাহরিয়ার বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার গাবতলীতে যাত্রীদের চাপ কম। যেহেতু, পরিবার নিয়ে যাচ্ছি, তাই আমরা আগে টিকিট কেটে রেখেছি। এখন পর্যন্ত কোনো অসুবিধা হয়নি। আশা করি, নিরাপদে বাড়িতে ফিরে স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারব।
কুষ্টিয়ায় যাত্রী মেহেদী শাওন বলেন, এবার ঈদের ছুটির আমেজ একটু আগে শুরু হয়ে গেছে। কারণ, এই ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে পথে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে না।
পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এবার প্রত্যাশার তুলনায় যাত্রী কম। এই রুটের অনেক যাত্রী এখন পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি ফিরছেন; বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চল ১৭টি জেলার মানুষ। তাই, এই সময়েও বাসের টিকিট মিলছে সহজে। নির্ধারিত সময়েই গাবতলী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস।
ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটের হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার বিপুল আহমেদ বলেন, আগে খুলনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রীরা গাবতলী হয়ে বাড়িতে যেতেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এসব জেলার মানুষ আর গাবতলীতে আসেন না। তারা সায়েদাবাদ হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে, গাবতলী বাস টার্মিনালে সেই চিরচেনা ভিড় নেই। এছাড়া, পোশাক কারখানা এখনো বন্ধ না হওয়ায় যাত্রী কম।
ঈদযাত্রা নিরাপদ করার জন্য গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভিজিলেন্স টিম ও মালিক সমিতির বুথও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, রোজা ২৯টি হলে আগামী ১০ এপ্রিল এবং রোজা ৩০টি হলে ১১ এপ্রিল সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। রোজা ৩০টি ও ঈদুল ফিতর ১১ এপ্রিল হচ্ছে, এটা ধরে নিয়ে সরকার আগামী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি নির্ধারণ করেছে। এর পর ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল (রোববার) নববর্ষের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।