লাইফস্টাইল ডেস্ক:
দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ১৮ এপ্রিল থেকে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এই সময়ে রোদে বের হলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। মানবদেহের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পেরিয়ে গেলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এ অবস্থায় অল্প কয়েকমিনিটের মধ্যে মানুষ জ্ঞান হারাতে পারেন। এসব বিষয় বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস হিট অ্যালার্ট জারি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবদেহের ৭০ শতাংশই পানি। অতিরিক্ত তাপে শরীরের জলীয় অংশের পরিমাণ কমে যায়। এ সময় সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে। লেবুর শরবত, স্যালাইন এবং পানীয় সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল ও মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে যতে হবে।
প্রয়োজনে বাইরে বের হলে, হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ধুলোবালির প্রকোপ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরতে হবে। চোখে সানগ্লাস দিতে হবে। এবং ছাতা ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে কালো রঙের ছাতা এড়িয়ে গেলেই ভালো।
হিটস্ট্রোক হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেবে
মাথা ঝিমঝিম করা, বমি, ক্লান্তি ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা, মাংসপেশির খিঁচুনি দেখা দিতে পারে। এ সময় রোগী চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন ইত্যাদি। দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এর কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে থার্মোমিটার দিয়ে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখতে হবে।
রোগীর শরীরের তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নামার আগ পর্যন্ত যা যা করতে হবে:
শীতল যা ছায়াযুক্ত জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
রোগীর শরীর থেকে ভারী জামাকাপড় খুলে দিতে হবে।
গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে।
অথবা স্পঞ্জ করে দিতে হবে।
রোগীর বগল ও ঊরুর ভাঁজে বরফ বা ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় দিতে পারেন।