স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জে সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেকের হামলায় আহত দীপক বসাকের পরিবারের সদস্যদের খোজখবর নেন বিএনপিরর পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী। সোমবার বিকালে সাটুরিয়ার বসাক পাড়া গ্রামের দীপকের বাড়ীতে আসে বিএনপির প্রতিনিধি দল। এসসময় হামলায় আহত দীপক বসাক ও তার স্ত্রী রুম্পা বসাকের সাথে কথা বলেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য রমেশ দত্ত , সাটুরিয়া উপজেলার বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন ঠান্ডুসহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই আহত পরিবারেরর সদস্যদের খোজখবর নিয়ে যত ধরনের আইনি সহায়তার প্রয়োজন হয় তাদের সহায়তা করার নির্দেশ দেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, টুম্পার এই ঘটনাটা আমাদের সামনে এসে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এ রকম অযশ্র ঘটনা পর্দার আড়ালেই ধামা চাপা পড়ে যাচ্ছে। দেশের অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে, নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। তারা ভয়ে বলতে পারছে না। বাধ্য হয়ে রাতের অন্ধকারে এই দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। কারা করছে আপনারা তা জানেন, বর্তমান যে সরকার অগণতান্ত্রিক পন্থায় অনির্বাচিত হয়ে রাতের অন্ধকারে ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাতিচ। আমারা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে খালেক যদি গ্রেফতার না হয় আগামীকাল হবে নিপুন রায়ের প্রতিবাদ শুধুমাত্র টুম্পার জন্য এবং সেই প্রতিবাদ দিয়ে সারা বাংলাদেশকে জানিয়ে দিতে চাই টুম্পার পাশে আমরা বিএনপির পরিবার আছি। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল নারী, মা ও বোনকে রাস্তায় নামিয়ে বাধ্য করবো খালেককে বিচারের আওতায় এনে গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচার করতে। যাতে টুম্পার পরিবার ন্যয্য বিচার পায়। প্রতিরোধ গড়ে তুলবো আর কোন সংখ্যালুঘু পরিবার যেন দু:শাসনের স্বীকার না হয়।
এর কয়েকঘন্টা পরই গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হামলার ঘটনার পর ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক দীপক বসাক বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সোমবার ঢাকা জেলার সাভার এনাম মেডিকেল হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হলেও তার সহযোগী শাহীনুর পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, শনিবার সকালে সাটুরিয়া উপজেলার বসাকপাড়া গ্রামের দীপক বসাকের বাড়ীতে হামলা চালায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ও তার সহযোগীরা। এঘটনায় বাড়ির মালিক দীপক বসাক (৩৩), তার স্ত্রী রুম্পা বসাক (২৫), বাবা দুলাল বসাক (৬৩), শ^শুর দীনেশ বসাক ও শ্যালক দ্বীপ বসাক (২৩) গুরুতর আহত হয়। এসময় পাল্টা হামলায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ও তার সহযোগী শাহীনুর ইসলামও আহত হয়।###