1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

রাস্তা দেখলে মনে হবে সাগরের ঢেউয়ে খেলা পথ, তবে এটা মহাসড়ক! 

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
  • ৮৪ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদন:

প্রথম দেখায় মনে হবে এটা সাগরের ঢেউয়ে খেলা পথ। আবার অনেকেই মনে করতে পারেন এটা রেলপথ। বাস্তবে কিন্তু এটা রেলপথ কিংবা সুমদ্রপথ নয়, এটা ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের চিত্র। প্রচণ্ড গরমে ও দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ সড়কের বিষয়খালী এলাকা এখন মত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

ছয় লেন সড়কের কাজ শুরু হবে বলে সড়কের পাশের বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড তাপমাত্রায় রাস্তার পিচ সব গলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সড়কের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে প্রশস্ত মহাসড়কের মাঝখানে রেললাইনের মতো চিত্র তৈরি হয়েছে। ফলে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিষয়খালী বটতলা নামক স্থান থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত ১২০০ ফিট রাস্তা ফুলে ওঠে রাস্তার মাঝখানে উঁচু ঢিঁবির সৃষ্টি হয়েছে। যেটি অনেকটাই মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তার এ বেহাল দশা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিষয়খালী গ্রামের সবুজ জানান, সড়কটির এতটাই বেহাল অবস্থা যে, প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। মেঠো সড়কে যেমন গরুর গাড়ি চলতে চলতে পয়ান বা লম্বা গর্ত তৈরি হয়, ঠিক গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের অবস্থাও তেমন হয়েছে।

স্থানীয় মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম জানান, এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো পরিবহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিনই অকেজো হয়ে পড়ছে বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবহন। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।

বিষয়খালী বাজারর চা বিক্রেতা হাসান জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২০-২৫টি মোটরসাইকেল এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে। রাস্তাটি মেরামত খুবই জরুরি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম জানান, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কটি উইকেয়ার সেকশন (ফেজ-১) ছয় লেন প্রকল্পের অধীনে হস্তান্তর করার কারণে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের এখন আর করার কিছু নেই। এখন সড়কর সকল সমস্যা প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury