1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ অপরাহ্ন

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১১ মে, ২০১৯
  • ২৫১৭ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুর শরীরে দ্রুত স্যালাইন পুষ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ।শনিবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক বিভাগের ১ নম্বর বেডে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

স্বজনরা জানায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের ঢাকিজোড়া গ্রামের শাহিন মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে স্থানীয় জনকল্যাণ নার্সিং হোমে শুক্রবার বিকেলে সিজারিং ডেলিভারি করলে একটি কন্যা শিশুর জন্ম নেয়। জন্মের পরই নবজাতকের ঠান্ডার সমস্যা দেখা দেওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা নবজাতককে জেলা হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়। এরপর প্রসুতি নার্গিস বেগমকে নার্সিং হোমে রেখে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নবজাতককে জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফ হোসেন নবজাতককে দ্রুত ভর্তির পরামর্শ দেন।স্বজনরা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নবজাতক ও শিশু বিভাগের এক নম্বর বেডে তাকে ভর্তি করে।চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নবজাতককে অক্সিজেন দিয়ে শরীরে স্যালাইন ‍পুশ করা হয়।

নবজাতকের নানী রওশনারা বেগম বলেন, ভর্তির পর তাকে অক্সিজেন ও স্যালাইন পুশ করার পর তার অবস্থা ভাল ছিল। সে স্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করছিল। ভোর ছয়টা পর্যন্ত তার প্রথম স্যালাইন চলে। স্যালাইন শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় স্যালাইন দেওয়ার জন্য নার্সকে ডাকা হলে নার্স দেরী করে আসে।ভোর ছয়টার পর নবজাতকের শরীরে দ্বিতীয় স্যালাইন পুশ করার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই পুরো স্যালাইন শরীরে প্রবেশ করে স্যালাইন শেষ হয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, ১২ ঘন্টার স্যালাইন কিভাবে এক ঘন্টায় শেষ হলো।মাত্রা অতিরিক্ত স্যালাইন প্রবেশের পর তার নাতনী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শিশু চিকিৎসক তিথি ইসলাম এসে নবজাতকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এসময় তার অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত ঢাকায় রেপার্ড করেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যূ হয়।

নবজাতকের নানা নবু বেপারী বলেন, একমাত্র নার্সের অবহেলার কারণে তার নাতনীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি অভিযুক্ত নার্সের শাস্তি দাবী করেন।

এব্যাপারে শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট তিথি ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাধারন রাউন্ডে শিশু ওয়ার্ডে এসে এক নম্বর বেডের নবজাতকের অবস্থা খারাপ দেখতে পাই। এসময় নবজাতকটিকে দ্রুত ঢাকার শিশু হাসপাতালে রেপার্ড করি।কিন্তু ততক্ষনে শিশুটি বেডেই মারা যায়।

এব্যাপারে অভিযুক্ত নার্স নাহিদা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোনে বলেন, নবজাতকটির অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল।তবে শরীরে স্যালাইন দ্রুত পুশ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, রোগীর ফাইল দেখে নির্দিষ্ট মাত্রার গতিতে স্যালাইন পুশ করা হয়। পরে রোগীর স্বজনরা এটি বাড়িয়ে দিতে পারে, কিংবা নাড়াচাড়ার কারণে স্যালাইনের গতি বেড়ে যেতে পারে। তবে শুধুমাত্র দ্রুত স্যালাইন পুষের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমনটি তিনি মানতে রাজি নয়। তার মতে শিশুর অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল।

এবিষয়ে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের নার্সিং সুপার ভাইজার আনিছুর রহমান ভূইয়া বলেন, নার্সের অবহেলা ও  রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ ব্যবহারের কথা না। যদি এমনটি করে থাকে তাহলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury