স্টাফ রিপোর্টার: দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও জনগনের পাশে থাকবো হিন্দু নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে সাভার সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ মঈন খান বলেছেন, দেশের সকল মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। এখানে কেউ ছোটনা আবার কেউ বড়না, সবাই সমান। আমরা দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশ ও দেশের মানুষের জন্যে কল্যান করে যাবো। আমরা দেশের জনগনের পাশেই আছি এবং থাকবো।
আজ সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপে নাজিরপুর গ্রামে রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়া পরিদর্শন ও এলাকার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মত বিনিময় করেন।
উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইতি রানী সাহা বলেন, আমাদের উপজেলাসহ জেলায় কোন সম্প্রদায়িক হিংসা বা হামলার ঘটনা ঘটে নাই। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যা হয়েছে তা অনেকটাই ব্যক্তিগত স্বার্থ বা শত্রুতা থেকে হয়েছে। আমাদের এলাকায় মুসলিম ভাইরা সদা-সর্বদা আমাদের পাশেই ছিলো। তারা মন্দির পাহারা দিয়েছে এবং এখনও আমাদের পাশেই আছে। কেউ কেউ অযথা গুজব রটিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমরা হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই। আমরা আগেও যে সম্প্রীতি ভালবাসা নিয়ে উভয় সম্প্রদায় ছিলাম আগামীতেও সেভাবেই থাকতে চাই।
তিনি আরোও বলেন, আজকে সেনাবাহিনীর এতো বড় কর্মকর্তা আমাদের খোজখবর নেয়ার জন্যে ছুটে এসেছেন , এতে আমরা সত্যই আনন্দিত। নবগঠিত সরকারকে আমাদের পক্ষ হতে অভিনন্দন।
মেজর জেনারেল মঈন খান বলেন, দেশটা আমাদের সবার তাই সবাই দেশপ্রেম নিয়ে এই দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। অপরাধী যেই হোক কোন ছাড় পাবে না। কেই গুজবে কান দিবেন না। দয়া করে কেউ কোন ষড়যন্ত্রে পা দিবেন না। সবাই মিথ্যা প্রচার ও গুজব হতে বিরত থাকবেন। পুলিশ থানায় কাজ শুরু করেছে, সিভিল প্রশাসন আছে আপনাদের সেবায় আর আমরাও আছি। যেকোন প্রয়োজনে আপনাদের পাশে সেনাবাহিনীর আছে ও থাকবে।
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের লেঃ কর্ণেল জুনায়েদ উদ্দিন শাহ চৌধুরী, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু, মন্দির কমিটির সভাপতি সুনিল ঘোষ, সাধারন সম্পাদক রাধেশ্যাম সাহা ,মাওলানা আবুল কালামসহ এলাকার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।