স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় সাবেক এমপি এস এম জাহিদসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
নিহত রফিকুল ইসলাম শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তিনি রূপসা গ্রামের রহিজ উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, মামলায় মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ, শিবালয় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুছ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলী আহসান মিঠু, আরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাকিম রহমান অনিক, আব্বাস আলী, জহিরুল ইসলাম মানিক, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম জনি, সেলিম রেজা, জয় ঘোষ, নুরে আলম, নকুল শীল, নজরুল ইসলাম বাবু, বেল্লাল হোসেন, তুষ্ঠু দত্ত, পিন্টু, খাজা এবং নৌ-পুলিশের ১১ সদস্যসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিবালয় উপজেলার রূপসা গ্রামের রহিজ উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম পাটুরিয়া ঘাটে নিহত হন। এ ঘটনায় গত রোববার (১৮ আগস্ট) একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ আসামি করা হয় অজ্ঞাত ২০০ জনকে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।