স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ১০১ মন ওজনের পাতিলে রান্না হয় জাবরা ইমামবাড়ি দরবার শরীফে। ২০১৬ সালে তৈরি হওয়া পাতিলটি তৈরি করতে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। পাতিলের ভেতরে মসলা মাখানোর জন্য বিশেষ পাখা দ্বারা রান্না করতে প্রয়োজন হয় ২০ থেকে ২৫ জন লোকের। ডেগটির উচ্চতা সাড়ে ৬ ফিট। এর মুখের চারপাশের আয়তন ৬ ফিট ২ ইঞ্চি। আর মাঝামাঝি চারপাশের আয়তন সাড়ে ৭ ফিট।
প্রতি বছরের ২৭ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরা ইমামবাড়ির দরবার শরীফে ১০৩ তম বাৎসরিক ওরস উপলক্ষে প্রায় ২০ হাজার ভক্তের জন্য করা হয় এ আয়োজন। পাতিলটিতে রান্না করতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ইট দ্বারা নির্মিত চুলা। এতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা। আর ধোয়া বের করতে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ চুল্লি। বসানো হয়েছে মটর। রান্নার পর এই খাবার খাওয়ানো হয় আগত ভক্তদের।
উপজেলার জাবরা ইমাম বাড়ি দরবার শরিফের পীর সাহেব হজরত মাওলানা খাজা আবুল কালাম আজাদ চিশতী আধ্যাত্মিক ধ্যান করার সময় এ রকম একটি ডেগ তৈরির নির্দেশনা পান। পরে ভারতের খাজা বাবার মাজার শরিফের খাদেমের নির্দেশক্রমে এই ডেগ তৈরি করা হয়।
মানিকগঞ্জ সহ রাজশাহী, নাটোর ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর সংখ্যক লোকের সমাগম হয় এই দরবার শরীফে। অনেকে রোগমুক্তি সহ বিভিন্ন জিনিস পাওয়ায় আশায় মানত করে তোবারক খায় আগত ভক্তরা।
বৃহৎ এ পাতিলটি দেখতে ভিড় করে দূর-দূরান্ত থেকে আগত অসংখ্য মানুষ। দুই দিনব্যাপী ওরশে প্রায় লক্ষাদিক লোকের সমাগম হয়। ওরশ উপলক্ষে বাড়ীর আঙ্গিনায় বিভিন্ন দোকানিরা প্রসরা বসায়।
দরবারে পীর আবুল কালাম আজাদ জানান, এই ডেগের ধারন ক্ষমতা ১০১ মন খানা নামে চাউল হিসেবে না। এই ডেগ তৈরি করার মূখ্য উদ্দ্যেশ্য মানুষকে খানা দান করা।
তিনি আরও জানায়, এটি অত্যন্ত বরকতময় একটি ডেগ। আর এই ডেগের খানা খাইয়া অনেকের অনেক ধরনের রোগ ব্যাধি সেরে গেছে। অনেকেরই যাদের বাচ্চা হয়না তাদের বাচ্চা হইছে।
দরবারে আগত এক নারী দর্শনার্থী জানায়, ‘আমি এবার প্রথম বার আসছি। বাংলাদেশের মধ্যে এটা নাকি প্রথম এতো বড় হাড়িতে এতো লোকের জন্য রান্না করা হয়। তো আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো বিষয়টা’।