স্টাফ রিপোর্টার :
গত ৪ আগষ্ট মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আসামী করা হয়েছে মানিকগঞ্জ পৌরসভার চারজন কাউন্সিলরকে। তাঁরা হলেন-৪ নং ওয়ার্ডের আরশেদ আলী বিশ্বাস, ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক রাজা, ৬ নং ওয়ার্ডের শায়েখ শিবলী ও ৭ নং ওয়ার্ডের কবির হোসেন। তারা সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আরশেদ আলী বিশ্বাস মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও শায়েখ শিবলী যুগ্ম সম্পাদক, আব্দুর রাজ্জাক রাজা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও মো: কবির হোসেন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) মানিকগঞ্জ সদর থানায় ৯১জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ ২৪১ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল মানিকগঞ্জ পৌর শাখার আহবায়ক ও মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী মোঃ মুরাদ হোসেন।
মানিকগঞ্জ থানা ফিার-ইন-চার্জ (ওসি) এস এম আমানুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই মামলায় আরও আসামী করা হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, যুগ্ম-সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল ও কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা ও আমিরুল ইসলাম মট্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সদস্য-সচিব মাহাবুবুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবুল সরকার, মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক হাসেম আলী, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফছার সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রানা, সাদেকুল ইসলাম সোহা ও কাজী রাজু আহমেদ বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক খান খালিদ, এনামুল হক রুবেল ও আল মামুন, ছাত্রলীগ নেতা মীম ও কম্পন, যুবলীগের জুয়েল ভূইয়া, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের নির্দেশনায়
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে আসামীরা ৪ আগষ্ট পেট্রো মািকগঞ্জ েলা বিএনপি কার্যালয়ে ও একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিকান্ড এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা অস্ত্র প্রদর্শণের মাধ্যমে তান্ডব চালিয়েছেন। এই ঘটনায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন বলে উল্রেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর দেশের অন্যান্য পৌরসভার মেয়রদের মতো মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়রকেও অপসারণ করা হয়। কাউন্সিলরগণও আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর পৌরসভায় আসছেন। এখনও অনুপস্থিত রয়েছেন আরশেদ আলী বিশ্বাস ও আব্দুর রাজ্জাক রাজা। মেয়রের পরিবর্তে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সানজিদা জেসমীন।