স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশের গাছ বিক্রির টাকা পেলেন উপকারভোগীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তাঁদের হাতে টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেসরকারি সংস্থা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এলাকার ১০টি সমিতির সদস্যরা মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ডেফলতলী থেকে জয়মন্টপ পর্যন্ত দুই পাশে ১০ হাজার গাছের চারা রোপন করেন। এর মধ্যে মেহগনির সংখ্যা ছিল বেশি। উপজেলা পরিষদ থেকে সড়কের পাশের জায়গা ইজারা নিয়ে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র স্থানীয় ১০টি সমিতির মাধ্যমে সদস্যদের দিয়ে গাছগুলো রোপন করে। গাছগুলো পরিচর্যার জন্য সংস্থাটি সমিতির সদস্যদের সহায়তা দেয়।
উপজেলা পরিষদ ও সংস্থাটির লিখিত চুক্তি অনুযায়ী, এসব গাছ বিক্রির আয়ের ৬০ শতাংশই পাবেন সমিতির সদস্যরা। এ ছাড়া সংস্থাটি ২০ শতাংশ এবং উপজেলা পরিষদ ২০ শতাংশ পাওয়ার কথা। তবে ২০১৭ সালে সংস্থাটি জানতে পারে এই জায়গা জেলা পরিষদের। এ কারণে উপজেলা পরিষদের সঙ্গে করা চুক্তি কার্যকর না হবে না। এ অবস্থায় গত বছরের জানুয়ারি মাসে জেলা পরিষদ সড়কের দুই ধারে ৩ হাজার ৭২৫টি গাছের তালিকা করে তা কাট শুরু করলে সমিতির সদস্যদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। পরে জলো পরিষদ তাঁদের সঙ্গে সমঝোতায় আসে। দরপত্রের মাধ্যমে সব গাছ ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সচিব আবদুল হান্নান, পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, সদস্য শোভা রহমান এবং প্রশিকার মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এনামুল হক জানান, মোট ১৩৪ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১০৭ জনের মাঝে গাছ বিক্রির টাকা চেক বিতরণ করা হয়। বাকি ২৭ জন উপকারভোগী মৃত্যুবরণ করায় তাদের ওয়ারিশদের মাঝে অবশিষ্ট টাকা বিতরণ করা হবে।