শুভংকর পোদ্দার:
জেলার ঘিওর উপজেলার বাঠুইমুড়ি এলাকায় পানি খাওয়া নিয়ে দ্বন্দে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে ঘিওর থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে, শনিবার সকালে ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের বাঠুইমুড়ি গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো ইদ্রিস আলী (৬০), সে সময় সেদিক দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত পাশের গ্রাম উভাজানী এলাকার মাদকাসক্ত মীর শরীফ(২৮) নামে এক যুবক। তখন অভিযুক্ত যুবক মীর শরীফ ইদ্রিস আলীর কাছে এক গ্লাস পানি খেতে চান। তখন ইদ্রিস আলী অভিযুক্ত মীর শরীফকে বাসার ভেতরে গিয়ে পানি খেয়ে আসতে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর পাশের বাসায় গিয়ে মাছ কাটতে থাকা একজন মহিলার কাছ থেকে মাছ কাটার বটি(দাঁ) কেড়ে এনে ভুক্তভোগী পায়ে কুপিয়ে জখম করে। পড়ে ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে অভিযুক্ত মীর শরীফকে বটি সহ আটক করে এবং ইদ্রিস আলীকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ইদ্রিস আলীর প্রতিবেশী মোঃ উজ্জ্বল নামে এক ব্যক্তি জানান, আমি সকালে বাজারের উদ্দ্যেশ্যে বাসা থেকে বের হবার সময় শুনতে পাই ইদ্রিস আলী দাদা বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করছে। তখন তার চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি তার পা থেকে অঝোরে রক্ত ঝড়ছে এবং মীর শরীফ বটি নিয়ে তাকে আরো কুপিয়ে জখম করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা দেখে আমি পিছন দিক থেকে মীর শরীফকে জড়িয়ে ধরি এবং আশেপাশের আরো লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করি। পড়ে ইদ্রিস আলীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। এবং পড়ে ঘিওর থানা থেকে পুলিশ এনে মীর শরীফ কে তাদের কাছে সোর্পদ করি।
এছাড়া এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ লায়াব আলী মোল্লা এই প্রতিবেদককে জানান, আমি ঘটনা টা শুনে সেখানে যাই এবং গিয়ে ঘিওর থানাকে অবিহিত করি পড়ে সেখান থেকে ফোর্স এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া অভিযুক্ত মীর শরীফের বিষয়ে তিনি আরো জানান, মাদকাসক্ত বলে এলাকার সবাই তাকে চিনে এবং আজকের এবিষয়টি শুধু পানি দেওয়া নিয়েই ঘটেছে বলেই আমরা শুনেছি।
এবিষয়ে ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, আহত ব্যক্তিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।