1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরকারি বাসভবনে দুঃসাহসিক চুরি

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
  • ১৬২৫ বার দেখা হয়েছে

শুভংকর পোদ্দার, স্টাফ রিপোর্টার

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চত্বরে অবস্থিত সরকারি বাসভবনের পৃথক দু’টি ভবনে দুঃসাহসিক চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদের সুখ নীড় ভবনের নিচতলার একটি বাসায় এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কর্মচারীদের বাসভবনের একটি ভবনের দোতলার একটি বাসায় ওই চুরির ঘটনা ঘটে।

সংঘবদ্ধ চোর মঙ্গলবার সকালে, উপজেলা পরিষদের মসজিদ সংলগ্ন সুখ নীড় ভবনের মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে হরিরামপুর উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক রুপালি মন্ডলের রুমের ভেতরে প্রবেশ করে তিনটি আলমারি ও একটি ওয়্যারডোব ভেঙ্গে একটি স্বর্ণের চেন, একজোড়া কানের দুল, ও নগদ ৫ হাজার টাকা, ও বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)র মাঠ কর্মকর্তা রোকেয়া সুলতানার বাসা থেকে তার স্বামী কন্ট্রাক্টর মফিজু হক আকন্দ বাবুল মিয়ার নগদ ১লক্ষ টাকা চুরি করে। এতে করে সরকারি কর্মকর্তা দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

এবিষয়ে ভুক্তভোগী হরিরামপুর উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক রুপালি মন্ডলের জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় আমি আমার রুম তালা দিয়ে অফিসে আসি। পরে দুপুর ২টায় লাঞ্চ করতে বাসায় গিয়ে দেখি রুমের দরজার তালা ভাঙ্গা বাসার বিছানা, ওয়্যারডোব, আলমারি খোলা এবং সব এলোমেলো পড়ে। দেখতে পাই আলমারিতে থাকা আমার একটি স্বর্ণের চেন(মালা), একজোড়া স্বর্ণের কানের দূল, সিটিগোল্ডের কিছু গহনা এবং নগদ ৫হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়া আরেক ভুক্তভোগী বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড(বিআরডিবি)র মাঠ কর্মকর্তা রোকেয়া সুলতানা এবং তার স্বামী কন্ট্রাক্টর মফিজু হক আকন্দ বাবুল মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান,

 

বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় আমারা অফিসে যাওয়ার পরপরই আমাদের বাসার দুইটি দরজার তালা না ভেঙে চোর বিশেষ ভাবে তালা দুইটা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। পড়ে আমাদের বাসার যেই আলমারিতে টাকা রেখেছি সেই আলমারির ও তালা বিশেষ কায়দায় খুলে সেখানে থাকা নগদ ১লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। তবে আরেকটি ওয়্যারডোব খুললেও সেখানে থাকা একটি আইফোন মোবাইল ফোন হাতিয়েও সেটি না নিয়ে চলে যায়। এছাড়া যখন চোর ভেতরে ছিলো তখন পাশের রুমের কলিগেরা ভেবেছিলো আমরা ভেতরে আছি তাই তারা বাসার কলিং বেল বাজিয়েও কোন সাড়া না পেয়ে চলে যায় এজন্যই হয়তো চোর তারাহুরো করে চলে গিয়েছে, তা না হলে রুমের আরো কিছু নিয়ে যেতো বলেও জানান তারা।

এছাড়া রোকেয়া সুলতানা আরো জানান, এঘটনার পর থেকেই আমারা আতঙ্কে রয়েছি কেননা আমাদের এখানে সচরাচর এমন ঘটনা নেই। তাই আমরা সহ আমাদের আশেপাশের বিল্ডিং গুলোতে থাকা লোকজনের মাঝেও একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।  এবিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেননি বলেও জানান তারা, তবে মৌখিক ভাবে তারা হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছেন এবং নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তারা।

 

এবিষয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, এবিষয়ে কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এবিষয়ে জানতে গেলে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিয়াস মেহেদী, উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

 

উল্লে­খ্য, গত মাস ছয়েক আগে হরিরামপুর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (পি আই ও) অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমানের রুমের মোট ৬টা তালা ভেঙ্গেছিল তবে সে একটা দরকারি কাজে বাসায় ফেরায় চোরে কিছু নিতে পারেনি। তবে উপজেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহায়কের বাসা থেকে  ৫হাজার টাকা চুরি হয়েছিল।

 

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury