মোঃ শরিফুল ইসলাম, ঘিওর
জেলা শহরের পর এবার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইভটিজিং ,মাদক ও কিশোর গ্যাং এর মত অপরাধ চক্র দিন দিন বেড়েই চলছে । স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অবাধেই জড়িয়ে পরছে অপরাধমুলক কর্মকান্ডে । স্কুল ফাঁকি দিয়ে বহিরাগত ছেলে পেলেদের সাথে সংঘবদ্ধভাবে তৈরি করছে কিশোর গ্যাং । ১০ থেকে ২০ জন বা তারও অধিক ছেলেপেলের সমমিশ্রণে তৈরী হচ্ছে কিশোর গ্যাং । তারা মাদক, ইভটিজিং, মারামরিসহ সমাজে নানা অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হচ্ছে । যার ফলে পথে-ঘাটে, স্কুলে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার মাত্রা বেড়েই চলেছে। ক্রমেই তা হয়ে উঠছে আরও সহিংস। বখাটেরা এখন আরও বেপরোয়া। সচেতন সমাজের এগিয়ে আসাও হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক ।
কিশোর গ্যাং-কেন্দ্রীক বেশ কয়েকটি অপরাধ পুলিশের হাতে ধরাপড়ার পর থেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। মাদক ও ইভটিজিংয়ে জরিত কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে সচেতনামূলক সভা করে যাচ্ছেন আইন-শৃংখলা বাহিনী । এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে ঘিওর উপজেলাধীন সিংজুরী বাজারে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে ও ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে জনসচেতনামূলক সভা করেছেন ঘিওর থানার ‘পরিদর্শক’ (ওসি তদন্ত )মহব্বত খান , সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুর রহমানসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। নানা অপকর্ম থেকে যুব সমাজ রক্ষার্থে পুলিশের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সকল শ্রেনীপেশার মানুষ ।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, মাদক , সন্ত্রাস ,জঙ্গিবাদসহ নানা অপরাধ দমনে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এছাড়া অপরাধ দমনে অভিযান অবহত রয়েছে । তবে ইদানিং স্কুল পড়ুয়া ও নবাগত কলেজ পুড়া ছেলে পেলেদের কিশোর গ্যাং নামক সংঘবদ্ধ একধরনের গ্রুপ তৈরীর মাধমে তারা ইভটিজিং,মাদকসহ নানা অপকর্মের দিকে ধাপিত হচ্ছে । আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি ।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি অভিভাবকদেরও খেয়াল রাখতে হবে যে তাদের সন্তান অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে যাওয়া-আসা করছে কিনা ,অপরাধ চক্রে জরিয়ে যাচ্ছে কিনা। ইতিমধ্যে পুলিশের হাইকমান্ডের কর্মকর্তারা সারাদেশেই পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে তারা নির্দেশ দিয়েছেন কিশোরদের গ্যাং সংস্কৃতি এবং অপরাধ বন্ধ করতে স্কুল-কলেজ, অভিভাবক এবং সুশীল সমাজের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করতে।