স্টাফ রিপোর্টার :
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাজেট পরবর্তী সময় হতে বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন থানার হাটে/বাজারে শুল্ক ও. কর ফাঁকি দিয়ে নকল পুনঃব্যবহৃত ও ছাপানো ব্র্যান্ডরোল ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে অবৈধ বিড়ির বাজারজাতকরন ও বিক্রি করে যাচ্ছে,বেশ কিছু অসাধু বিড়ি কোম্পানী।
এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে মিঠু বিড়ি , স্টার বিড়ি, রাজ বিড়ি, ডালিম বিড়ি, আফিজ বিড়ি ,মুকুট বিড়ি, মিষ্টি বিড়ি, মিরাজ বিড়ি প্রমুখ। সরকার স্বাস্থ্যখাতের ঝুকি এড়াতে ও তামাকজাত দ্রব্যকে নিরুৎসাহিত করতে বছর বছর এখাতের উপর বাড়তি করারোপ করে যাচেছ।২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাজেটে বিড়ির মূল্যস্থর ১২% সম্পূরক শুল্ক ৫% অগ্রীম কর ১০% বাড়িয়ে মোট শুল্ক বৃদ্ধি করে ২৪.২০%। বর্তমানে প্রতিহাজার বিড়িতে মোট শুল্ক দিতে হয় ৩১৩.৬০ টাকা। এছাড়া বিড়ির কাগজ তামাক ফিল্টার পরিবহন ও বাজারজাতকরন খরচ দিয়ে কোনভাবেই ২৫ শলাকার এক প্যাকেট বিড়ি ১৪ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়। যদি কেউ তা করে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে সেটাই অবৈধ বিড়ি।
অথচ সরকারের এই নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় এইসব অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ও ছাপানো ব্র্যান্ডরোল ব্যবহার করে নির্ধারিত মূল্যেরও প্রায় অর্ধেক দামে ৭/৮ টাকা দরে বাজারে বিড়ি বিক্রয় করছে। এতে একদিকে যেমন সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে বৈধভাবে সরকারকে শুল্ক ও কর পরিশোধ করা কোম্পানী মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এতে করে সরকারের মুলনীতি স্বাস্থ্যঝুকির কথা বিবেচনা করে ধূমপানকে নিরুসাহিত করার বদলে কম মূল্যে ও সস্তায় বিড়ি পেয়ে আরো বেশি করে সাধারণ মানুষ ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। মাঝখান থেকে লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের বৈধ ভাবে ব্যবসা করা বিড়ি কোম্পানী গুলো আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
খোজ নিয়ে জানা গেছে স্থানীয় কাষ্টমস্ ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে তারা একাজ নির্বীঘেœ কওে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের শ্রমঘন এই শিল্পটি ধসে পড়বে দেশের রাজস্ব আহরণের বড় এ খাতটি বাধাগ্রস্ত হবে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ভেঙ্গে পড়বে স্বাস্থ্যখাত বাধাগ্রস্থ হবে সুশাষন মাথা চাড়া দিবে দেশের দূর্নীতিখাত।
অতএব উপরোক্ত বিষয়টির গুরুত্বানুধাবন পরবর্তী বিষয়টির ব্যাপকতারোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন ও এসব ব্যবসার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাজাওে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দোষীদেও শাস্তিরব্যবস্থা নিশ্চিত করলেই বন্ধ হবে এই অপতপরতা ঘুরে দাড়াবে দেশের রাজস্বখাত এই ব্যাপারে উদ্দোগী ভুমিকা পালন করতে পারে স্থানীয় কাষ্টমস্ ভ্যাট এক্সাইজ ও রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।