ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের ওপর যারাই হামলা করুক না কেন, বর্তমান সরকার তাদের রেহাই দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাকসু ভিপি নুরসহ আহতদের দেখতে যান আওয়ামী লীগের নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তখন সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে শুধু এটুকু বলব-আজ যে ঘটনাটি ঘটেছে এরপর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা উচ্ছৃঙ্খলতা সহ্য করব না। এটা কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ব্যাপার নয়। হামলাকারীরা যে মঞ্চেরই হোক, কাউকে বর্তমান সরকার রেহাই দেবে না। শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে তাদের কাউকে ছাড় নয়। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি তাদের দেখতে। হামলা যে এত বর্বর হয়েছে বুঝতে পারিনি।’
এ সময় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমরা নুরসহ আহতদের দেখতে এসেছি। তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেব। এ ছাড়া তোমাদের এই অমানবিকভাবে কারা হামলা চালিয়েছে তাদের খুঁজে চিহ্নিত করা হবে।’
এর আগে নুরকে দেখতে এসে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা এ সময় তাদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে শ্লোগান দেন।
আজ রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে ডাকসু ভবনে ঢুকে নুরুল হক নুরের ওপর এ হামলা চালানো হয়। হামলায় নুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে প্রক্টরের সহযোগিতায় সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ডাকসুতে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন। এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদের বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন তারা। পরে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন।