এক সময়ে ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দু’জনই স্কটিশ। একই সঙ্গে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের কিংবদন্তি। একজন খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে। অন্যজন কোচ হিসেবে। প্রথমজন লিভারপুলের কেনে ডালগ্লিশ, দ্বিতীয়জন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন।
১৯৮৬ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ম্যানইউর কোচ হওয়ার সময়ে ইংলিশ লিগে একক আধিপত্য ছিল কেনে ডালগ্লিশের লিভারপুলের। ফার্গুসন বলেছিলেন, লিভারপুলকে মাটিতে টেনে নামাবেন। সত্যিই সেটা করে দেখিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৩টা লিগ শিরোপা জিতিয়ে তবেই দায়িত্ব ছাড়েন ইউনাইটেডকে।
আর এই সময়ে (১৯৯০ সালের পর) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো শিরোপাই জেতেনি লিভারপুল। এই প্রথম এক জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লুপের অধীনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরলো অল রেডরা।
লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেই ফার্গুসনই অভিনন্দন বার্তা পাঠালেন ডালগ্লিশকে। লিভারপুল কিংবদন্তির কথায়, ‘ফার্গুসন আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে। ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে আমার। এক সময় আমরা টুর্নামেন্টে খেলতাম, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। কিন্তু ওইসব ভুলে সে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে।’
লিভারপুলের সাবেক তারকা জ্যামি ক্যারাগার আবার ফাঁস করেছেন, তিন বছর আগে ফার্গুসন তাকে বলেছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লুপ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা এনে দেবেন লিভারপুলকে। ক্যারাগারের কথায়, ‘আমি ২০১৭ সালে মাইকেল ক্যারিকের টেস্টিমোনিয়াল ম্যাচে খেলছিলাম। ওই ম্যাচের সময় স্যার অ্যালেক্সের সঙ্গে দেখা হয়। তখনই আমাকে তিনি বলেছিলেন, তোমাদের ক্লাবে এখন এমন একজন কোচ আছে, যে প্রিমিয়ার লিগ জেতাতে পারে।’
ক্যারাগার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, ‘স্যার অ্যালেক্স আরও বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যানেজারদের সেমিনারে ইয়ুর্গেন যেভাবে কথা বলে, সেগুলো শুনে উনি বুঝতে পেরেছিলেন দারুণ কোচ। আমাকে বলেছিলেন, লিভারপুলের জন্য উপযুক্ত।’
২০১৩ সালে ফার্গুসন ইউনাইটেড থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ক্লুপকে কোচ হতে প্রস্তাব দিয়েছিল ম্যানইউর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য; কিন্তু সে সময় ক্লুপের স্ত্রী উলা তাকে বুঝিয়েছিলেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সঠিক টিম হবে না।’ এর দু’বছর পরই লিভারপুলে যোগ দেন ক্লুপ।