স্টাফ রিপোর্টার:
অনিয়মের অভিযোগে আরো দুইজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং একজন ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা কর্মসূচি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম এবং চাল আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা কর্মসূচির ১৯৮ জন উপকারভোগীর কাছ থেকে বিবিধ ট্যাক্সের নামে ২৮০ টাকা হারে অর্থ আদায়ের অভিযোগে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রুপম এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম, নিয়মবর্হিভূতভাবে ডিলারকে দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করা, মৃত ব্যক্তিকে ও একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত করা এবং বরাদ্দকৃত চাল সঠিক ব্যক্তির মধ্যে বিতরণ না করার অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলার ১১ নম্বর গজনাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এছাড়া মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উত্তম বিশ্বাসকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০৭ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চারজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।