স্টাফ রিপোর্টার:
করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২,৩৫২ জনে। একই সময়ে রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৬৬৬ জন। নতুন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৩,৭৯৫। রোববার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৮০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৩ হাজার ৬১৪ জন। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী দেশে করোনা নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪.১১ শতাংশ; শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৮ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৫০.৯৩ শতাংশ। তিনি আরো বলেন, সারাদেশে ৭৭টি ল্যাব আছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৭টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩০টি ল্যাব চালু আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ২১০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে নয় লাখ ৪০ হাজার ৫২৪টি। নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪৭ জনের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও নারী ১১ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ছয় জন করে ১২ জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে দুই জন করে চার জন, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে চার জন করে আট জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৩ জন, বাসায় মারা গেছেন চার জন। মৃত্যুদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭৩৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯০৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৩৭ হাজার ৫০৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৩১৯ জন।বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়। প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।