দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার (৫ আগস্ট) সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার কফিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময়ে তার কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে নয়া পল্টন কার্যালয়ের সামনে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহাসচিব ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কায়সার কামাল, আবদুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, ইশরাক হোসেন, খন্দকার আবু আশফাক, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকনসহ কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেন।
মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আবদুল মান্নান শুধু দলের ভাইস চেয়ারম্যানই ছিলেন না, তিনি একজন প্রতিথযশা কর্মী ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন এবং অত্যন্ত যোগ্য একজন মানুষ ছিলেন।
‘আমার এখনও মনে আছে, তিনি যখন বাংলাদেশ বিমানের এমডি ছিলেন, পরবর্তীকালে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন তখন বাংলাদেশ বিমান প্রফিট করেছিল এবং সেই প্রফিটের টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে বিমানের একটা স্থায়ী অফিস করেছিলেন, সকল বকেয়া পরিশোধ করেছিলেন। আমি মহান আল্লাহর কাছে এ দোয়া করছি তিনি যেন তাকে বেহেস্তের সন্দুরতম জায়গায় রাখেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাতে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল মান্নান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরও তিনটি জানাজা শেষে ঢাকার আজিমপুর কবরাস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে আবদুল মান্নানকে দাফন করা হবে। বেলা ১২টায় ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে, বেলা ৩টায় নবাবগঞ্জের রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং বেলা ৪টায় দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে মরহুমের জানাজা।
১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্য্টন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আবদুল মান্নান। ঢাকা-২ আসনে (নবাবগঞ্জ-দোহার) ১৯৯১ সালে থেকে চার বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির সংসদ নির্বাচিত হন তিনি।