পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের নিহত হওয়ার ঘটনাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
বুধবার কক্সবাজারে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, এতে দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরবে না।
কক্সবাজারের সেনাবাহিনীর বাংলো জলতরঙ্গে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। যে ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী তাতে মর্মাহত।
‘আমি আপনাদের মাধ্যমে যে বার্তা দিতে চাই, তা হলো এটাকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই।’
সেনাপ্রধান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি ‘জয়েন্ট ইনকোয়ারি টিম’ (যৌথ তদন্ত দল) গঠিত হয়েছে, যারা গতকাল তাদের কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ও সেই টিমের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে।
তিনি বলেন, এতে সেনাবাহিনীর আস্থা আছে, পুলিশ বাহিনীর আস্থা আছে। আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে একটি জিনিস আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে যে ঘটনাটা ঘটেছে, তাতে যারা সম্পৃক্ত, সেই ঘটনার দায়দায়িত্ব কোনো প্রতিষ্ঠানের হতে পারে না। সেটার জন্য ইনকোয়ারি টিম যাদের দোষী সাব্যস্ত করবে, তারা সেই দোষের প্রায়শ্চিত্ত পাবেন।
ঘটনার তদন্তাধীন আছে, এ নিয়ে অন্য কোনো কথা না বলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে কোনো প্রতিষ্ঠান কাউকে সহযোগিতা করবে না, কারও বিরুদ্ধে যাবে না। সেনা ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যে মিউচুয়াল ট্রাস্ট, কনফিডেন্স, কো-অপারেশন অনেক বছর ধরে তৈরি হয়েছে, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছি যে তা অটুট থাকবে।
‘এই ঘটনা নিয়ে যাতে সেনা বাহিনী ও পুলিশের মধ্যে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির কোনো প্রয়াস কেউ না চালায়, সেই জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। আমাদের সবার চেষ্টা করা উচিত, তদন্তটা যাতে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়।’
সেনাপ্রধান আরও জানান, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরে—এমন কিছু হবে না।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে আইনের শাসন আছে। সংবাদমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। বিচার বিভাগ মুক্ত।
‘এ ঘটনা নিয়ে অনেকে উসকানিমূলক কথা বলার চেষ্টা করছেন। যারা উসকানি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।