বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া লিওনেল মেসির নতুন ক্লাবে যোগদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে আছে বিশাল অঙ্কের রিলিজ ক্লজ। ৭০০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ গুণে তবেই মেসিকে নিতে পারবে নতুন ক্লাব। বার্সা এমন চুক্তি সামনে এনে মেসিকে আটকে রাখছে। অথচ চুক্তিটি নাকি ফুরিয়ে গেছে! এমন দাবি করছে স্পেনের শীর্ষ রেডিও স্টেশন কাদেন সার।
স্পেনের শীর্ষ এই রেডিও স্টেশন জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান ফুটবলের ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেসির রিলিজ ক্লজের মেয়াদও ফুরিয়ে গেছে। বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তিপত্রের একটি কপি হাতে পেয়েছে জানিয়ে এমন দাবি করছে কাদেনা সার।
রেডিও স্টেশনটি জানিয়েছে, সর্বশেষ ২০১৭ সালে কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন মেসি। যেখানে তিনি চার বছরের জন্য বার্সায় থাকার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছিলেন। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী ২০২০-২১ মৌসুম হবে ন্যু ক্যাম্পে মেসির শেষ। এর পাশাপাশি রিলিজ ক্লজ হিসেবে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তিও ছিল ক্লাবটির সঙ্গে।
তবে কাদেনা সারের হাতে থাকা চুক্তিপত্র অনুযায়ী, শেষ মৌসুমটা (২০২০-২১) মেসির জন্য ঐচ্ছিক। রেডিও স্টেশনটি দাবি করছে, এই সূক্ষ্ম ফাঁক মেসির পক্ষে কথা বলছে। কাদেন সার বলছে, শেষ মৌসুমে চাইলে মেসি বার্সায় থাকতে পারেন, আবার না-ও পারেন। যেহেতু শেষ মৌসুমটি ঐচ্ছিক, ফলে এ সময়ে কার্যকর হবে না তার রিলিজ ক্লজ।
এদিকে ইতিমধ্যে ইউরোপের সব দেশেই নতুন মৌসুমের (২০২০-২১) জন্য শুরু হয়েছে তোড়জোড়। বার্সেলোনাও আগামীকাল সোমবার থেকে অনুশীলনে ফিরতে যাচ্ছে। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সার সঙ্গে চুক্তির শেষ মৌসুমে পা রাখতে যাচ্ছেন মেসি। রেডিও স্টেশনটির প্রতিবেদন অনুসারে, শেষ মৌসুমটা যদি মেসির জন্য ঐচ্ছিক-ই হয়, সেক্ষেত্রে রিলিজ ক্লজের অর্থ পরিশোধ করা ছাড়াই নতুন ক্লাবে পাড়ি জমাতে পারবেন তিনি।
তবে ক্লাব বার্সেলোনা মেসির রিলিজ ক্লজের ক্ষেত্রে কোনো আপোষ করবে না বলে জানিয়েছে আরেক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত। ফলে ৩৩ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে পারে আইনী প্রক্রিয়ায়।