স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেছেন, মাদকের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই ভয়াবহতা পুলিশের একার পক্ষে থামানো সম্ভব নয়। পরিবার ও সমাজের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাতেই মাদক নিরাময় সম্ভব।
সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাকশিয়া মৌজায় প্রস্তাবিত মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জায়গা পরির্দশনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার জনাব রিফাত রহমান শামীম, পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে আগত মাদকাসক্ত ও পুনর্বাসন নিরাময় কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও পুলিশ সুপার মো: শহীদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ উদ্দিন, জমিদাতা জলিল সিকদার, ফজলুল হক ও খয়ের উদ্দিনসহ পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থাণীয় গর্ণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, মাদক নির্মূলে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে। মাদকের সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা। সেই সাথে মাদকসেবীদের পূর্নবাসন করার জন্য সারাদেশে জেলা পর্যায়ে একটি করে মাদক নিরাময় কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সদর থানার সাবেক ওসি রকিবুজ্জামান ও ভাড়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৮২.৫০ শতাংশ জমি মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রর নামে দানপত্র গ্রহণ করা হয়। বিল চর পাকশিয়া গ্রামের জলিল শিকদারের স্ত্রী মোছা: দেলোয়ারা বেগম ৬৫ শতাংশ এবং মোহাম্মদ ফজলুল হক ও আবুল খায়ের দুই ভাই কর্তৃক ১৭.৫০ শতাংশ সর্বমোট ৮২.৫০ শতাংশ জমি ইন্সপেক্টর জেনারেল বাংলাদেশ পুলিশ বরাবরে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ডিআইজি জেলার গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ও স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, জনগনের সাথে মতবিনিময় সভা, মৎস্য অবমুক্তকরণ ও এসি রবিউল ফটকে টেরাকোটা স্থাপন উদ্বোধন করেন।