সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইরানের রাষ্ট্রদূত
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নফর। এ সময় বাংলাদেশ থেকে চা, পাট, ফল, মসলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও শাকসবজি আমদানির আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ইরানি রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশে খেজুর, গম, পেঁয়াজ, কিসমিস প্রভৃতি রপ্তানির আগ্রহও দেখিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোহাম্মদ রেজা নফর।
সাক্ষাৎকালে কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, অ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং ও প্যাকেজিং, জলবায়ু অভিঘাতসহনশীল বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন ও গবেষণা, বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগ এবং কৃষি খাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হলো—কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করা। সেজন্য কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে সরকার।
কৃষিমন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান। ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, ইরানে তুলনামূলকভাবে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।
কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নফর বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে, যা খুবই প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, ‘কৃষিসহ অনেক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে বাংলাদেশ ও ইরানের। এছাড়া, দুই দেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সম্পর্ক আরও জোরদারে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।