এবারের আইপিএলের তিন ভেন্যুর মধ্যে সবচেয়ে ছোট মাঠ হচ্ছে শারজাহ। এই মাঠে খেলা মানেই ধুন্ধুমার ব্যাটিং এবং রানের ফোয়ারা। তবে আইপিএলের শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে বিষয়টি ভিন্ন ছিল। শারজাহর উইকেটে চিরাচরিত সেই ওজ্জ্বল্য ছিল না। সময়ের সঙ্গে মাঠ আরও স্লো হতে লাগলো। ফলে সব ব্যাটসম্যানরাই ভুগেছে সেখানে। তবে আশ্চর্য ব্যতিক্রম হয়ে ব্যাট হাতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই প্রোটিয়াকে সুপার হিউম্যান বলে আখ্যায়িত করেছেন কোহলি।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে থাকা বেঙ্গালুরু প্রথম ১৫ ওভারে তুলেছিল ১১১ রান। আর শেষ ৫ ওভারে রান আসে ৮৩। যার একক কৃতিত্ব ভিলিয়ার্সের। কলকাতার পেসার কমলেশ নাগরকোটিকে রানবন্যায় ভাসিয়ে শুরু। এরপর বাদ যায়নি কোনো বোলারই। শেষ পর্যন্ত ভিলিয়ার্সের ৩৩ বলে ৫ চার এবং ৬ ছয়ে ৭৩ রানের ইনিংসে ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে থাকা কলকাতা থামে মাত্র ১১২ রানে। বেঙ্গালুরু জেতে ৮২ রানের বড় ব্যবধানে। অসাধারণ ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে আসে ভিলিয়ার্সের। ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলির কণ্ঠে বারবার উঠে আসে এই প্রোটিয়া কিংবদন্তির কথা।
কোহলি বলেন, ‘টসের সময় থেকে শারজাহর উইকেটে স্বাভাবিক ওজ্জল্য ছিল না। সুতরাং আমরা বুঝতে পারছিলাম, সময়ের সঙ্গে মাঠ আরও স্লো থেকে স্লো হয়ে যাবে। ব্যাটসম্যানরা এখানে কষ্ট করে রান তুলতে হবে। হয়েছেও তাই। একজন সুপার-হিউম্যান ছাড়া প্রত্যেকে এই পিচে লড়াই করেছে।’
ভিলিয়ার্সকে নিয়ে কোহলি আরও যোগ করেন, ‘সবাই বলছিল, সর্বোচ্চ ১৬৫-১৭০ রান হতে পারে। কিন্তু এবি ডি ভিলিয়ার্স ছিলেন অবিশ্বাস্য। আমি মাঠে এসে মারতে চেষ্টা করছি। কিন্তু হচ্ছিলো না। তবে এবি আসলো এবং তৃতীয় বল থেকেই দারুণভাবে খেলতে শুরু করলো। এরকম মাঠে কেবল, এবি এমনভাবে খেলতে পারে। তার ইনিংসটা বিশেষ কিছু ছিল। আমরা ১৯৫ রানের ইনিংস পেয়েছি কেবল এই জিনিয়াস মানুষের জন্য।