ক্রীড়া প্রতিবেদক: পেসার রুবেল হোসেনের প্রথম স্পেল বিস্ময় জাগানিয়া; ৬-৩-১০-৩। আগুনে বোলিংয়ে তামিম ইকবাল একাদশকে শুরুতেই ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ একাদশের এ বোলার। ওই ধাক্কা সামলে তামিম ইকবাল একাদশকে টেনে তোলেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও মাহিদুল হাসান অঙ্কন।
জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ইয়াসির-অঙ্কনের জুটিতে আসে ১১১ রান। শেষটা রাঙান সাইফ উদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাহমুদউল্লাহদের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবালরা তুলেছে ২২১ রান। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে টিকে থাকতে হলে মাহমুদউল্লাহদের এ রান তাড়া করে জিততেই হবে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় তামিম একাদশ।
রুবেল একে একে ফেরান তানজিদ হাসান (১), এনামুল হক বিজয় (১) ও মোহাম্মদ মিথুনকে (২)। অধিনায়ক তামিমকে (৯) ফেরানোর দায়িত্ব নেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি। দুই পেসারের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে তামিম একাদশ। কোনোভাবেই রান তুলতে পারছিলেন না তারা। উইকেটে থিতু হয়ে দুইজন আক্রমণ করেন। উইকেটের চারিপাশে শট, সিঙ্গেল ও ডাবলসে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। ১১১ রানের জুটি গড়েন সময় নিয়ে। বিপদজ্জনক এ জুটি ভাঙে রান আউটে।
লিটনের থ্রোতে সোহানের অসাধারণ ফিনিশংয়ে ইয়াসির রান আউট হন ৬২ রানে। সঙ্গী হারানোর পর অঙ্কন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রুবেল দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে তুলে নেন ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। শেষদিকে মোসাদ্দেকের ৩৯ বলে ৪০ ও সাইফ উদ্দিন ২৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে তামিমরা ২২১ রানের সংগ্রহ পায়। রুবেল নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। ইবাদত ২টি ও রনি ১ উইকেট নেন।