1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

পাঁচটি কবিতা | কাজী জহিরুল ইসলাম

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮
  • ১০৯৬ বার দেখা হয়েছে

কবিতা ~ শিল্প-সাহিত্য

নিম্ফোম্যানিয়াক
আলোনোখ কেটেছে দাগ
গাছেরা নিম্ফোম্যানিয়াক
সূর্যের কাছে খুলে দেয় রোজ
গহন গোপন।

দেখো, দেখো কী অশ্লীল!
যুবতী পাতাগুলো চুমুক দিয়ে খায়
আলোর ক্লোরোফিল।

ডুব
আকাশ থেকে নয়, বৃষ্টি থেকে নয়,  জল
গর্তে জমা হয়, স্পর্শে ভেসেছে ভূতল।

চুমুক দিয়ে দিয়ে জমাট পাতালের ঢেউ
চঞ্চু ও গ্রীবাতে আদরে মেখে নেয় কেউ।

পানপাত্রখানি উপুড় করে দিয়ে
তৃষ্ণা মেটে না যে তার
পাত্র-গভীরে সে নিজেই ঢুকে পড়ে
অতলে ডুবে গিয়ে নিজেকে করে উদ্ধার।

গাছ পাখি
গাছের বুকে পাখির বাসা, দুটি।
আমিও তো পাখি, তোমার ডালে উঠি?
বাসাতে ঘুম, অনিরাপদ ছানা,
ঝড় ঠেকাতে আমার দুটি ডানা, নেবে?
মগডালে কেন শুকনো দুটি নদী?
পাতারা ঢেউ জাগিয়েছে ধ্রুপদী,
দুঃখ ঝরায় হলুদ পাতা ফেলে।
কাঠঠোকরা খোঁড়ল বানিয়েছে
চঞ্চুঘাতে বাঁকল ঠেলে ঠেলে;
গোখরো এলে,
শীতের রাতে ওমগর্ত বেছে
ওকেও বুঝি দরজা খুলে দেবে?

বাঁশি
তুমি কী সেই দূরের বাঁশি
পাথর-গৃহে আজও
নীল কষ্টে বাজো?
আমিও তো মধ্যরাতে হঠাৎ বলি, আসি।

চিকন বাঁকা বাঁশের বাঁশি ছিদ্র গোটা সাত
ছয়টি ঢাকা ছয় আঙ্গুলে
একটি রেখেছিলাম খুলে
এক ফুটোতে আওয়াজ তুলেই করতো বাজিমাৎ।
নষ্ট রাতে হঠাৎ বাঁশি বাজল অকস্মাৎ।

বৃহত্তে যায় আদমহাওয়া
অন্ধকারে নদী লিখি, নারী লিখি, জল
যখন আমি পাহাড় লিখি, তখনই উজ্জ্বল।

আলোর নিচে কষ্টপাখি মেলেছে পাখনা
কয়েকটি ফুল দুঃখ-সুবাস আমারই থাকনা।

কবি ওঠেন পাহাড়চূড়ায় ছবি সমুদ্রে
বৃহত্তে যায় আদম-হাওয়া সে কেনো ক্ষুদ্রে?

তারা ফোটে সৈকতে রোজ হাওয়াতে গর্জন
হাওয়ার পাখি ভোর এনেছে এইটুকু অর্জন।

ভোর-জলে স্নান অন্ধ পুরুষ দৃষ্টিতে পূণ্য
সংশয়ে এক, দৃশ্যে অনড় প্রকাণ্ড শূন্য।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury